বগুড়ায় রাস্তায় আলু ফেলে চাষিদের বিক্ষোভ

হিমাগারে আলু সংরক্ষণের খরচ বৃদ্ধির প্রতিবাদে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ করেছেন। সংরক্ষণ খরচ কমিয়ে পূর্বের মূল্য বহাল না করলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের জামাদার পুকুর এলাকায় বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে আলু ফেলে এ কর্মসূচি পালন করেন আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা। তারা নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা বলেন, এ বছর হিমাগারে প্রতি কেজি আলু সংরক্ষণ করতে খরচ হবে ৮ টাকা। একদিকে সংরক্ষণ ব্যয় বাড়তি অন্যদিকে ভরা মৌসুমে নেই আলুর দাম। তাই কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে উৎপাদন খরচের সাথে বিক্রয়মূল্য ও সংরক্ষণ খরচ সমন্বয়ের দাবি জানান তারা।
তারা আরও বলেন, জমি থেকে উৎপাদিত আলু বহন করে হিমাগারে নেওয়ার পথে হাটে বেচা-কেনা না হলেও খাজনা দিতে হয় নিকটস্থ হাট ইজারাদারদের।
আলুচাষিরা জানান, এ বছর আলু চাষে উৎপাদন খরচ পড়েছে কয়েকগুণ। বীজ আলু কিনতে হয়েছে ১২০ টাকা কেজিতে। এছাড়াও সার, কীটনাশকসহ অন্যান্য উপাদানের দাম গত বছরের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। গত মৌসুমে হিমাগারে আলু সংরক্ষণের জন্য প্রতি কেজি ৫ টাকা ভাড়া নির্ধারিত ছিল। তবে চলতি মৌসুমে হিমাগার মালিকরা একতরফাভাবে ৩ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজি ৮ টাকা নির্ধারণ করেছেন।
বিক্ষোভের একপর্যায়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা। পরে শাজাহানপুর থানা পুলিশের আশ্বাসে মহাসড়ক ছেড়ে দেন তারা।
এ সময় শাজাহানপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ বলেন, এ বছরে আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করার জন্য হিমাগার মালিকরা প্রতি কেজিতে ৩ টাকা বৃদ্ধি করেছেন। এর প্রতিবাদে রাস্তায় আলু ফেলে সড়ক অবরোধ করেন তারা। আমিসহ আমার টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে শান্ত করি।
পরে বিক্ষোভকারীরা শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি দেন। এতে হিমাগারের সংরক্ষণ ব্যয় আগের অবস্থায় রাখার দাবি জানান তারা।
আরএআর