রাজবাড়ীতে পুলিশের ওপর হামলা, আটক ৬

রাজবাড়ীতে গোয়েন্দা পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের কাজীবাধা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের কাজীবাধা গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে মো. আবুল কালাম আজাদ ওরফে পিনু শেখ (৪৭), মো. মিন্টু শেখ (৫৫), মো. আবুল কালাম আজাদ ওরফে পিনু শেখের স্ত্রী মোছা. সেফালী বেগম (৪৩), মো. ইদ্রিস শেখের স্ত্রী মোছা. নাসিমা বেগম (৩৫), রফিক শেখের স্ত্রী মোছা. শিমু বেগম (২০) ও মৃত আবুল হোসেনের স্ত্রী সোহাগী বেগম (২৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে মাদক কেনাবেচা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল কাজীবাধা এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ফরিদ শেখের (৪১) বাড়িতে অভিযান চালায়। ওই সময় মাদক ৩১০ পিস ইয়াবা ও ৪ বোতল ফেনসিডিলসহ ফরিদ শেখকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ফরিদ শেখের হাতে হাতকড়া লাগিয়ে তাকে গাড়িতে তোলার সময় তার পরিবারের সদস্যরা গোয়েন্দা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ওয়াহিদুল হাসানকে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল ইসলাম বলেন, ফরিদকে মাদকসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তারের পর তার পরিবারের নারী ও পুরুষ সদস্যরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের এসআই ওয়াহিদুল হাসান আহত হন। তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।। এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শরীফ আল রাজীব বলেন, ফরিদ শেখ একজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ ৯টি মাদক মামলা রয়েছে। আজ তার বাড়ি থেকে ৩১০ পিস ইয়াবা ও চার বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তার বাড়ির সদস্যরা আমাদের পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আমরা ফরিদ শেখের পরিবারের ৬ জনকে আটক করেছি। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। পলাতক ফরিদ ও তার স্ত্রীকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/আরএআর