নোয়াখালীতে ফরহাদ মজহারের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ

এবাদতনামা কাব্যগ্রন্থে ইসলাম বিদ্বেষী লেখা ও প্রচার করায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের স্বামী ফরহাদ মজহারের নামে দায়ের করা মামলা খারিজ করা হয়েছে।
রোববার (২ মার্চ) নোয়াখালীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১নং আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলার আবেদন খারিজ করে দেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মো. কাউসার উল জিহাদ নামের এক আইনজীবী মামলার আবেদন করেন। মামলায় ফরহাদ মজহার ছাড়াও বইটির প্রকাশক ওসমান গনিকেও আসামি করা হয়।
জানা যায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলা থেকে ফরহাদ মজাহার রচিত এবাদতনামা কাব্য গ্রন্থটি ক্রয় করেন আইনজীবী মো. কাউসার উল জিহাদ।
বইটি পড়ার সময় তিনি লক্ষ্য করেন বইয়ের অধিকাংশ কবিতা ইসলাম এবং তাওহীদ বিদ্বেষী। ইসলামের মূল বিশ্বাস, ভিত্তি, আল্লাহর প্রতি চরম বিদ্বেষমূলক এবং অসম্মানজনক কবিতা প্রকাশিত হয়েছে এই কাব্য গ্রন্থটিতে। এছাড়াও এবাদতনামা বইটির ৬৯ পৃষ্ঠায় আযান, ৫৯ পৃষ্ঠায় আমি ঘোর পৌত্তলিক এবং ৫২নং পৃষ্ঠায় নবীজীর ওয়াস্তে কবিতায় ইসলামের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অপমান, ব্যঙ্গ এবং অসম্মানজনক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।
মামলার বাদী আইনজীবী মো. কাউসার উল জিহাদ বলেন, বইটির ১৬নং পৃষ্ঠায় দুনিয়া রেজিস্ট্রি কর কবিতায় মহান আল্লাহর সাথে ধৃষ্টতামূলক বাক্য ব্যবহৃত হয়েছে। আযান কবিতায় আল্লাহকে সম্বোধন করে তুমি কি বধির প্রভু? নাকি কানে তুলা দিয়া থাক? এভাবে হুঙ্কার দিয়ে পাঁচ বার মাইক্রোফোনে কেন মোয়াজ্জিন হাকিতেছে বলেছেন যা চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ, অপমানজনক এবং বিদ্বেষমূলক। এছাড়া ১৬নং পৃষ্ঠায় দুনিয়া রেজিস্ট্রি কর কবিতায় তিনি মহান আল্লাহর প্রতি চরম ধৃষ্টতা এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করেছেন। যা অভিযোগকারীর ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হানে।
আইনজীবী মো. কাউসার উল জিহাদ আরও বলেন, ফরহাদ মজহার এবং প্রকাশক ওসমান গনি উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে এবং চরমহীন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই কবিতা এবং প্রকাশ করেছেন এবং তা এখনও লেখক এবং প্রকাশকের সম্মতিতে বাজারে প্রকাশিত হচ্ছে। একুশে বইমেলা-২০২৫ এর মতো ব্যাপক পরিসরে এই বই প্রচার এবং প্রকাশ করে ফরহাদ মজাহার এবং ওসমান গনি ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাবের মাধ্যমে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে মারাত্মক আঘাত হেনেছেন এবং দেশের সামগ্রিক শান্তি শৃঙ্খলায় চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মদদ যুগিয়েছে।
নোয়াখালী আদালতের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. শহীদুল ইসলাম মামলার আবেদন ও খারিজের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) আইনজীবী মো. কাউসার উল জিহাদ মামলার আবেদন করেন। মামলায় ফরহাদ মজহার ছাড়াও বইটির প্রকাশক ওসমান গনিকেও আসামি করা হয়। রোববার (২ মার্চ) নোয়াখালীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১নং আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলার আবেদন খারিজ করে দেন।
হাসিব আল আমিন/এমএএস