আবারও পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিলেন আ.লীগের নেতাকর্মীরা

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পুলিশের কাছ থেকে একাধিক মামলার আসামি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল আলম মুন্নাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌর সদরের ফকিরপাড়া এলাকার একটি বিয়ে বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশকে হেনস্তা করে। তবে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের ওসি শাখাওয়াত হোসেন।
পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল আলম মুন্না পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী বিএনপির সমর্থক আমির উদ্দিন বলেন, আমাদের পাশের বাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় হঠাৎ ডাক-চিৎকার শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শুনি ছাত্রলীগ নেতা মুন্নাকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এভাবে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে গেলে আইনের বিঘ্ন ঘটে।
জানা গেছে, পাকুন্দিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল আলম মুন্না পৌর সদরের ফকিরপাড়া এলাকার পার্শ্ববর্তী শ্রীরামদী গ্রামে একটি বিয়ে বাড়িতে দাওয়াত খেতে আসেন। এমন খবরে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য ওই স্থানে হাজির হয়। তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গাড়িতে ওঠানোর সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছিনিয়ে নেন।
তবে এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, গতকাল রাতে ছাত্রলীগ নেতা মুন্নাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে পুলিশ অভিযান চালায়। বিয়েবাড়িতে অবস্থা করছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে পুলিশ গিয়ে তাকে পায়নি। পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা সত্য নয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও এগারসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান বাবুকে বাহাদিয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসার সময় তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। পরে ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। চেয়ারম্যান বাবু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দুই মামলার আসামি।
মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/এমজেইউ