ঠাকুরগাঁওয়ে চাঁদা না পেয়ে প্রকৌশলীদের মারধর, কর্মবিরতি-মামলা

চাঁদা না পেয়ে সড়কের কাজ বন্ধ করে দিয়ে ঠাকুরগাঁও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে জেলা সদরের শিবগঞ্জের রসুলপুর শারালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রোববার (৯ মার্চ) সদর থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির কার্য সহকারী রেজওয়ানুল হক। এ ছাড়া এ ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। এতে থমকে আছে উন্নয়নমূলক সব কাজ।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে IRIDP-3 প্রকল্পের আওতায় জেলা সদরে রসুলপুর টু শিবগঞ্জ শারালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি সড়কের কার্পেটিং কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। এ সময় ওই এলাকার আলম, আবু হোসেন মতিউর ও আরিফসহ অজ্ঞাত আরও ২০ জনের একটি দল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডির) কার্য সহকারী রেজওয়ানুল হকের পথরোধ করে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে না পারায় তারা সড়কের কার্পেটিং কাজ বন্ধ করে দেন। এ সময় কথাকাটির একপর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে তাকে মারধর করেন। এতে রেজওয়ানুল হক গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মো. ফরহাদ হোসেন সৌরভ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজিবুল হাসান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুস সাকিব আকাশ ও ল্যাব সহকারী আমিনুল ইসলাম রেজওয়ানুল হককে রক্ষা করতে গেলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। বর্তমানে তারা ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় এলজিইডির কার্য সহকারী রেজওয়ানুল হক বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আসামিরা হলেন- সদরের শিবগঞ্জ শারালী এলাকার মৃত আকিম উদ্দিনের ছেলে মো. আলম (৫০), জলিলের ছেলে আবু হোসেন (৫০), মৃত আকিম উদ্দিনের ছেলে মতিউর (৩৫) ও মো. আলমের ছেলে মো. আরিফসহ (২৫) অজ্ঞাত ২০ জন।
এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস জানান, কাজ করতে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি মারধরের শিকার হয় তাহলে কাজ করব কীভাবে? জীবনের নিরাপত্তা কে দেবে আমাদের? মামলা হলেও এখনো পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। তাই কর্মবিরতি পালন করছে সবাই। আসামিরা গ্রেপ্তার হলে আতঙ্ক কাটবে, সবাই কাজে ফিরবে।
এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান জানান, মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।
রেদওয়ান মিলন/এমজেইউ