ইমামকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামালার চেষ্টা, মুসল্লিদের হাতে যুবক আটক

বরগুনার তালতলী উপজেলায় ঈদের নামাজ পড়ানোর সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ইমামের ওপর হামলার চেষ্টাকালে মাসুম নামে এক যুবককে আটকের পর পুলিশে দিয়েছেন মুসল্লিরা। ভুক্তভোগী ওই ইমাম মো. ইমরান উপজেলার আঙ্গারপাড়া গ্রামের একটি মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করেন।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের আঙ্গাপাড়া শিকদার বাড়ি মসজিদের ঈদগাহ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজাহান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মাসুম তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া আলীর বন্দর নামক এলাকার বাসিন্দা সাইদুলের ছেলে। এক সময় ওই এলাকার একটি মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করতেন তিনি। পরে তা ছেড়ে দিয়ে ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানির গাড়িচালক হিসেবে যোগদান করেন। ভুক্তভোগী ইমাম ইমরানের সঙ্গে একই মাদরাসায় পড়াশোনা কারায় অভিযুক্ত মাসুমের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক থাকলেও গত এক বছর ধরে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। পরে উপজেলার আঙ্গাপাড়া শিকদার বাড়ি মসজিদের ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ পড়ানোর সময় মাসুম ইমাম ইমরানের পেছনে নামাজ পড়তে দাঁড়ান। এ সময় নামাজের রুকুতে গেলে মাসুমের সঙ্গে লুকিয়ে রাখা একটি দেশীয় অস্ত্র (চাপাতি) দিয়ে ইমাম ইমরানকে আঘাত করতে গেলে মুসল্লিরা তাকে ধরে বেঁধে পুলিশে দেয়।
এ বিষয়ে তালতলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজাহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে অভিযুক্ত মাসুমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।
আব্দুল আলীম/আরকে