ভোলায় ইন্ট্রাকোর গ্যাসবাহী গাড়ি আটকে দিলো ছাত্র-জনতা

ভোলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন, ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ ও গ্যাসভিক্তিক শিল্প কারখানা স্থাপন, ভোলা-বরিশাল সেতু বাস্তবায়ন ও গ্যাস পাচার বন্ধসহ ৫ দফা দাবিতে ইন্ট্রাকোর একটি গ্যাসবাহী গাড়ি আটকে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নিয়ে ইন্ট্রাকোর গ্যাসবাহী (ঢাকা মেট্রো-ঢ ৬১০০৬৬) গাড়িটি ভোলা ত্যাগ করার সময় ওই এলাকাতেই গাড়িটি আটকে দেওয়া হয়। পরে সড়কে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
এসময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা অভিযোগ করে বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভোলাকে নিয়ে নানান আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা ছিল ভোলাবাসীর সাথে প্রতারণা। উল্টো ইন্ট্রাকোর সাথে অবৈধ চুক্তি করে ভোলা থেকে গ্যাস পাচার করেছে।
আন্দোলনকারী রাহিম ইসলাম বলেন, ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হওয়ার পর নতুন সুর্য উদিত হয়। আমরা ভেবেছিলাম ভোলাবাসীর দাবিগুলো পূরণ হবে, কিন্তু আমরা আশাহত হয়েছি। ভোলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন, ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ ও গ্যাসভিক্তিক শিল্প কারখানা স্থাপন, ভোলা-বরিশাল সেতু বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে শুক্রবার দুপুরে মানববন্ধন করে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম, দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের করেও আমাদের দাবিগুলো পূরণ হয়নি। আমরা এখন বিপ্লবী রূপ ধারণ করব, আমাদের দাবি আদায়ের জন্য যা যা করার দরকার আমরা তা-ই করব। সেই পেক্ষাপটে ইন্ট্রাকোর গাড়ির মাধ্যমে ভোলা থেকে যে গ্যাসগুলো পাচার হতো, তা পরিপূর্ণভাবে বন্ধ করার জন্যেই আজকে আমরা ইন্ট্রাকোর গ্যাসবাহী গাড়ি আটক করেছি।
আকিল নামে একজন বলেন, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ভোলা পুরোপুরি বৈষম্যের শিকার। ফ্যাসিস্ট আমলে ভোলা অর্থনৈতিক হাব হিসেবে পরিণত হওয়ার অনেক আশ্বাস পেয়েছি, কিন্তু কিছু দুষ্কৃতিকারীর জন্যে এগুলো হয়নি। আমাদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেছে।
জিদান আনাবির বলেন, ইন্ট্রাকো ভোলা থেকে গ্যাস পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে। তারা ভোলা থেকে নামেমাত্র মূল্যে গ্যাস কিনে অন্যত্র চড়া দামে বিক্রি করে। ভোলাবাসী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস পাওয়ার কথা থাকলেও আমরা তা পাই না। বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনের সময় আমাদের শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, আমরা আর কোনো আশ্বাসের ভাগিদার হতে চাই না। আমরা চাই আমাদের অধিকার।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দাবি আদায় না হলে ভোলার এক ফোঁটা গ্যাসও ভোলার বাইরে নিয়ে যেতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্র-জনতা। রাত দেড়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা গাড়িটি আটকে রাখেন।
মো.খাইরুল ইসলাম/এমএ