১১ বছর আত্মগোপনে থাকার পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আত্মগোপনে থাকা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. জুলফিকারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। লক্ষ্মীপুরের ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া হত্যা মামলায় দীর্ঘ ১১ বছর ধরে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। সোমবার (৫ মে) রাতে সোনাইমুড়ী বাইপাস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জুলফিকার লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার সৈয়দপুনর কাশেম ভূঁইয়ার বাড়ির নুরুল ইসলামের ছেলে।
র্যাব-১১ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ মে রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়াকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়। পরদিন তার মরদেহ বাড়ির পাশেই পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার চার দিন পর নিহতের স্ত্রী অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলার তদন্ত শেষে জেলা গোয়েন্দা শাখা আটজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানির পর ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি আদালত তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। মো. জুলফিকার ছিলেন ওই মামলার একজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘ ১১ বছর আত্মগোপনে ছিলেন। ৫ মে রাত ৮টার দিকে র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর সদস্যরা নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী বাইপাস সড়ক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জুলফিকার বিভিন্ন পেশায় নিজেকে আড়াল করে আত্মগোপনে ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেন এবং মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বলে স্বীকার করেন। তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
হাসিব আল আমিন/এমটিআই