দাবদাহে বিপর্যস্ত সিরাজগঞ্জ, হালকা বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি

সারা দেশজুড়েই চলছে তীব্র দাবদাহ। তার মধ্যেও উত্তরবঙ্গের জেলা সিরাজগঞ্জ যেন আরও বেশি গরমে পুড়ছে। গত কয়েক দিনের অস্বাভাবিক তাপমাত্রায় জনজীবন হয়ে পড়েছে অতিষ্ঠ। শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট বেড়েছে দ্বিগুণ।
গত শনিবার (১১ মে) জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর রোববার (১২ মে) দুপুরে তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড গরমে বিপর্যস্ত জনজীবনে হালকা স্বস্তি এনে দেয় বিকেল ৫টার দিকে শুরু হওয়া ঝোড়ো হাওয়া এবং পরবর্তী বৃষ্টি। রাতভর জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় কিছুটা কমে আসে তাপমাত্রা, ফিরে আসে স্বস্তির পরশ।
জেলা শহরের পুরাতন জেলখানা ঘাটের নৌকা চালক রবিউল মিয়া বলেন, যে গরম বাতাসের পাতাও নড়ে না। নদীর পাড়েও বাতাস নেই। যাত্রী তুলনামূলক কম। গরম কমলে বেঁচে যায়।
রিকশাচালক রফিক মিয়া বলেন, সকাল থেকে এত গরম ছিল যে রিকশা চালানোই যাচ্ছিল না। বিকেলে হাওয়ার পর মনে হলো একটু শান্তি পেলাম।
নিউ মার্কেট এলাকার দোকানি আলী আশরাফ বলেন, দুপুরে এত গরম ছিল যে দোকানে মানুষই আসছিল না। বিদ্যুৎ না থাকায় কষ্ট আরও বেড়েছিল। বিকেলের বাতাসে কিছুটা ভরসা পেয়েছি।
কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট এলাকার ফল বিক্রেতা শরীফ খান বলেন, গরমে বাজার বসানোই কঠিন হয়ে গিয়েছিল। পানি, ঠান্ডা পানীয় বেশি বিক্রি হয়েছে। বৃষ্টিতে একটু স্বস্তি পেয়েছি, আজ ভোর থেকে দোকান খুলেছি।
ভদ্রঘাট শামছুন মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, তিন দিনের ছুটির পর আজ সোমবার স্কুল খুলেছে। গতকালের বৃষ্টির কারণে আজ আবহাওয়া কিছুটা সহনীয়।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এই বৃষ্টি সাময়িক স্বস্তি দিলেও সামনের কয়েক দিনে তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে। তবে ১৩ মে থেকে সিরাজগঞ্জসহ সারাদেশেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ সকাল ৭টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার। দুপুরে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
নাজমুল হাসান/আরকে