‘আমার বাবা সিএনজিচালক, টাকা-পয়সা দেওয়ার মতো অবস্থা নেই’

.
মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে জয়পুরহাটের ১৩ জন চাকরি প্রত্যাশী তরুণ-তরুণী পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেডে পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নাম ঘোষণা করেন।
নাম ঘোষণার সাথে সাথে পুলিশের কনস্টেবল পদে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত তরুণ-তরুণীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এসপি। এসময় বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান হোসেন, নওগাঁর সাপাহার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শ্যামলী রায়সহ জয়পুরহাট জেলা পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
কনস্টেবল পদে উত্তীর্ণ শাহানাজ পারভীন সানু বলেন, আমার বাবা সিএনজির একজন চালক। টাকা-পয়সা দেওয়ার মতো আমার বাবার ক্ষমতা নেই। আমি শুধুমাত্র আবেদন ফর্মের যে টাকা সেটা দিয়ে এতদূর পর্যন্ত এসেছি। উত্তীর্ণ হওয়ার পর অনেক খুশি লাগছে। মাত্র ১২০ টাকায় আবেদন করে মাঠ পর্যায়ে টিকেছি এবং আজকে মৌখিক পরীক্ষায় পাস করে আমার চাকরি হয়েছে।
ফয়সাল আহমেদ নামের আরেকজন বলেন, যোগ্যতার ভিত্তিতে আমাদের বাছাই করা হয়েছে। এরজন্য পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের ছোট পরিবার। ছোটবেলা থেকে নানা-নানির বাড়িতে বড় হয়েছি। এই চাকরি না হলে আমাকে শ্রমিকের কাজ করতে হতো। চাকরি হওয়ার পর আমার খুব ভালো লাগছে।
এসপি মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন, জেলায় এবার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ৮৩৮ জন আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে বাছাইয়ের পর ১৩৬ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। এরমধ্যে ২৩ জন মৌখিক পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন। আজ (বৃহস্পতিবার) মৌখিক পরীক্ষায় ১৩ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া তিনজনকে অপেক্ষমান রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই নিয়োগে প্রার্থীরা নিজের যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন। তদবির, লবিং ও ঘুষ ছাড়াই এই মেধারা কনস্টেবল পদে চাকরি পেলেন। পুলিশের পক্ষ থেকে তদবির, লবিং ও ঘুষ না করতে আগেই নিষেধ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে কয়েকজন নিয়োগ নিয়ে প্রতারণা করেছেন। এ বিষয়ে কয়েকজন পুলিশের হেফাজতে আছেন। এটি নিয়ে তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে বিষয়টি জানানো হবে।
চম্পক কুমার/এমএএস