বজ্রপাতে কৃষক ও শিক্ষার্থীসহ ১৯ জনের মৃত্যু

দেশের সাত জেলায় বজ্রপাতে স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীসহ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে পাঁচ, পটুয়াখালীতে দুই, নোয়াখালীতে এক, ফেনীতে দুই, মানিকগঞ্জে চার, মুন্সিগঞ্জে এক, শরীয়তপুরে এক, রংপুরে এক, বরিশালে এক ও চুয়াডাঙ্গায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্তারিত ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদে-----
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলার উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুরে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকেল ৫টার দিকে উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা, উধুনিয়া, শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ও নরিনা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের চর আঙ্গারু গ্রামের আমানত হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২৬), নরিনা ইউনিয়নের বাতিয়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে আলহাজ্ব বাবুর্চি (৫০), সলঙ্গা ইউনিয়নের আঙ্গারু বাঘমারা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫), উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের আগদিঘল গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে ও উধুনিয়া মানিকজান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ফরিদুল ইসলাম (১৫) ও বেলকুচির চর সমেশপুর গ্রামের লাইলি বেগম।
কায়েমপুর ইউপির ৯নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালাম জানান, রোববার বিকেলে কায়েমপুর ইউনিয়নের চর আঙ্গারু গ্রামে আব্দুল্লাহ (২৬) বাড়ির পাশে মাঠে ধান কাটছিলেন। এ সময় ঝড় ও বৃষ্টিপাত শুরু হলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
নরিনা ইউপির বাতিয়া গ্রামের স্থানীয় আলতাফ হোসেন জানান, বিকেলে বাতিয়া গ্রামের আলহাজ বাবুর্চি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশেই মাঠে ধান শুকানোর কাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হলে তারা দুজন দৌড়ে বাড়ি ফেরার সময় আলহাজ বাবুর্চি বজ্রপাতে নিহত হন।
উধুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জানান, বিকেলে ফরিদুল ইসলাম মাঠে ধান কাটার কাজ করছিলেন। এ সময় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে ধান কাটা বাদ দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় আগদিঘল গ্রাম কবরস্থানের কাছে পৌঁছালে বজ্রপাতের তার মৃত্যু হয়।
সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফি কামাল শফি ও আঙ্গারু কমিউনটি ক্লিনিকের হেলথ প্রোভাইডার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, রোববার সকালে পার্শ্ববর্তী বাঙ্গালা ইউনিয়নের দরিয়াল বিলে খাদ্য খাওয়ানোর জন্য হাঁসের বাথান নিয়ে যায় রফিকুল ইসলাম। হাসের পরিচর্যা ও খাদ্য খাওয়ানো শেষে হাঁসের বাথান নিয়ে বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে প্রচণ্ড ঝড় ও বৃষ্টির কবলে পড়ে বজ্রপাতে রফিকুল মারা যায়।
অপরদিকে, বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা ঢাকা পোস্টকে জানান, নিজেদের বাড়ির পাশে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান লাইলী বেগম।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামসুজ্জোহা বলেন, শাহজাদপুরে বজ্রপাতে দুইজন মারা গেছে বলে আমি জেনেছি।
পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, পটুয়াখালীতে পৃথকস্থানে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে মির্জাগঞ্জের মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রাম ও সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মজিবার হাওলাদার (৩০) ও আব্দুল জলিল (৪৫)।
মির্জাগঞ্জের মজিদবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সরওয়ার কিচলু বলেন, দুপুরে হাল চাষ করতে বাড়ির পাশের মাঠে যায় জলিল। এ সময় বজ্রপাত শুরু হলে জলিলের মৃত্যু হয়। নিহত জলিল মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামের সেরজন আলী হাওলাদারের ছেলে।
অপরদিকে, সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের (সাবেক) চেয়ারম্যান আবদুল কাদের খান বলেন, দুপুরে সাড়ে ৩টায় মজিবার হাওলাদার (৩০) নামে এক কৃষক বাড়ির পাশে মাঠে কাজ হাল চাষ করতে যায়। বজ্রপাত শুরু হলে মাঠের মধ্যে মজিবার হাওলাদারের মৃত্যু হয়। তিনি সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া গ্রামের মৃত মোনসের হাওলাদারের ছেলে।
সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিলন মাঝি বলেন, আমার ইউনিয়নে বিরাজলা গ্রামে বজ্রপাতে হাসেম ঘরামীর ২টি গরু মারা গেছে। গলাচিপার আমখোলা ইউনিয়নের আমখলা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, বজ্রপাতের সময় আমাদের এলাকার মহসিনার ১টি মহিষ, ১টি গরু ও ৬টি রাজহাঁস মারা গেছে।
নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নে বজ্রপাতের শিকার হয়ে আবদুল মান্নান খোকন (৫৫) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকেল ৫টায় উপজেলা সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজচরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত আবদুল মান্নান খোকন মাইজচরা গ্রামের মৌলভী সৈয়দ আহমেদের ছেলে এবং স্থানীয় মাইজদী বাজারের পান ব্যবসায়ী ছিলেন।
খোকনের প্রতিবেশী জামাল উদ্দিন জানান, রোববার বিকেরে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে মাঠ থেকে গরু আনতে যান খোকন। এ সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় খোকন। পরে আশপাশের লোকজন এসে তার লাশ উদ্ধার করে।
খোকনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, বিকেল ৫টায় বৃষ্টির মধ্যে মাঠ থেকে গরু আনতে যায় খোকন। এ সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে মারা যান খোকন।
এর আগে নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও সেনবাগ উপজেলায় বজ্রপাতে ৫টি গরু মারা যায়। তবে ওই সময় কোনো মানুষের হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
চরজব্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক ও সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ফেনী প্রতিনিধি জানান, জেলার সোনাগাজীতে বজ্রপাতে সাজেদা আক্তার সাথী (১৫) নামের এক মাদরাসা ছাত্রী ও আল-আমিন (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার সকালে বগাদানা ইউনিয়নের আলামপুর গ্রামের আনু ফরাজীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অপর এক ঘটনায় চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদরবেশ গ্রামে শিরিন আক্তার (১০) ও আকবর হোসেন (১৫) নামে দুইজন আহত হয়েছে।
নিহত মাদরাসা ছাত্রী সাজেদা আলামুর গ্রামের আনু ফরায়েজি বাড়ির মো. সোলেমানের মেয়ে। সে কাটাখিলা সামাদিয়া দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। নিহত শিশু আল আমিন সম্পর্কে তার ফুফাতো ভাই। চরদরবেশ ইউনিয়নের চরসাহাভিকারী গ্রামের মো. বাহার উল্যাহর ছেলে। সে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।
বগাদানা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন বাবুল জানান, সাজেদা আক্তার ও তার ফুফাতো ভাই আল আমিন সকাল ১০টার দিকে একটি ছাতা নিয়ে ঘর থেকে পাশের ঘরে যাওয়ার সময় হাঠাৎ বজ্রপাতে দু'জন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, একই সময় দক্ষিণ চরদরবেশ গ্রামে বাড়ির আঙিনায় কাজ করার সময় বজ্রপাতে শিরিন আক্তার ও আকবর হোসেন আহত হয়। তাদেরকে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত শিরিন আক্তার চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদরবেশ গ্রামের আবুল কাসেমের কন্যা ও আকবর হোসেন একই গ্রামের আবু নাছেরের ছেলে।
বগাদানা ইউপি চেয়ারম্যান ক খ ম ইসহাক খোকন ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলার ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলায় রোববার (৬ জুন) বিকেলে বজ্রপাতে চার জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- ঘিওর উপজেলার বৈলট গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে শাহীন (১৮), ঠাকুরকান্দি গ্রামের আরশেদ বিশ্বাসের ছেলে জুলহাস উদ্দিন জুলু (৪০), লতিফ খানের ছেলে ইবাদুল খান (৩২) ও দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়নের চরকাটারি গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৪০)।
বাঁচামারা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য রমজান আলী বলেন, গোলাম মোস্তফা পেশায় মহিষের গাড়ি চালক। বিকেলের দিকে চরকাটরারি চরে বাদামের ট্রিপ আনতে গিয়ে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বিকেলের দিকে বাড়ির অন্য সদস্যদের সঙ্গে শাহীন জমিতে ধান আনতে যায়। এ সময় বজ্রপাতে সে নিহত হয়। শাহীন মহাদেবপুর ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজের ছাত্র।
অন্যদিকে ঠাকুরকান্দি এলাকায় ইবাদুল ও জুলু রাত হয়ে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে রাত ৯টার দিকে কৃষি জমিতে তাদের মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
পাবনা প্রতিনিধি জানান, পাবনায় আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে যুথি খাতুন (১৮) নামে এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে তিনি মারা যান।
নিহত যুথি সদরের মালঞ্চি ইউনিয়নের পাইকেল গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে ও কয়রাবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী শিক্ষার্থী ও দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের এইচ.এস.সি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন বিকেলে বাড়ির পাশে আম বাগানে বৃষ্টির মধ্যে আম কুড়াতে গেলে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তিনি জানান বজ্রপাত ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই সে মারা গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলার সিরাজদিখানে বৃষ্টির মধ্যে মাঠে খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে অপূর্ব বর্মন (১৭) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অপু বর্মন (২১) এবং পরিচয় বর্মন নামে দুই যুবক আহত হয়েছেন।
নিহত অপূর্ব বর্মন উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের শেখরনগর জেলে পাড়া গ্রামের স্বপন বর্মনের ছেলে এবং আলী আজগর অ্যান্ড আব্দুল্লাহ কলেজের এইচ এসসির পরীক্ষার্থী। পরিচয় ও অপু বর্মনের বাড়ি একই গ্রামে।
রোববার বিকেল ৩টায় উপজেলার শেখরননগর মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতােলে ভর্তি করা হয়েছে।
শেখরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, জেলার জাজিরায় বজ্রপাতে আতিকুর রহমান মাদবর (১৪) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান জাজিরা থানা পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান।
আতিকুর রহমান মাদবর (১৪) জাজিরার সেনেরচর ইউনিয়ের ছোট কৃষ্ণনগর এলাকার ফারুক মাদবরের ছেলে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। পাশাপাশি বজ্রপাতও হচ্ছিল। আতিকুর রহমান বাড়ির পাশে নিচু জমিতে মাটি ভরাটের কাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রের আঘাতে মারা যায় সে।
নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর জানান, রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বজ্রপাতে আমিনুর ইসলাম (৩৭) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। পাট খেতে কাজ করে বাড়ি ফেরার পথে আকস্মিক বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়।
রোববার বিকেলে গঙ্গাচড়ার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর মটুকপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এরশাদ আলম শাহীন।
নিজস্ব প্রতিবেদক বরিশাল জানান, বরিশালের উজিরপুরে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের সাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম নান্টু বালী (৩০)। এ ঘটনায় সুমন খান (২৬) নামে আরো একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উজিরপুর মডেল থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সুমন হোসেন। তিনি জানান, নিহত নান্টু বালী ওই এলাকার ইউনুস বালীর ছেলে। আহত সুমন একই এলাকার পল্টু খানের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, জেলায় বজ্রপাতে কোরবান আলী (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কোরবান আলী আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের রুইথনপুর গ্রামের সর্দারপাড়ার মৃত ফকির মোহাম্মদের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দীন বলেন, কোরবার আলী প্রতিদিনের মতো দিনমজুরের কাজ শেষে বিকেলে বাড়ি ফেরেন। পরে লিজ নেওয়া জমিতে করা কচুখেতে সার দিতে যান তিনি। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে অন্য কৃষকরা তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কোরবার আলী এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা। ছেলে বড় হলেও মেয়ের বয়স চার বছর। রাত সাড়ে ১০টার দিকে জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এমএএস