ঘাটে আটকা পড়েছে অর্ধশতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার ৮টি রুটে লঞ্চ ও ২টি রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
এদিকে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন এসব রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা এবং ঘাটে আটকা পড়েছে অর্ধশতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। বুধবার (২৯ মে) সকালে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঢাকাগামী ছাত্রী মো. হারুন ও জাফরসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী বলেন, জরুরি কাজে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে ইলিশা ঘাটে এসেছি। এসে শুনছি লঞ্চ-ফেরি চলাচল বন্ধ। অন্য কোনোভাবে যাওয়ার সুযোগ নেই। এখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।
চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ঢাকার উদ্দেশ্য ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা ও বোরহানউদ্দিন থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ইলিশা ফেরিঘাটে এসেছেন ট্রাকচালক হানিফ ও ইয়াছিন হাসনাইন। তারা বলেন, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ইলিশা ঘাটে এসেছি। এসে ফেরি পাইনি। আশা ছিল সকালের ফেরিতে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরী ঘাটে গিয়ে সেখান থেকে গন্তব্যে যাব। কিন্তু সকাল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এখন ট্রাকের পণ্য নিয়ে চিন্তায় পড়েছি। ওইদিক পণ্যের মালিক দ্রুত পণ্য পৌঁছানোর জন্য ফোনে তাড়া দিচ্ছেন, অথচ আমরা ফেরিঘাটে আটকে আছি। আজ অথবা আগামীকাল সকালের মধ্যে নদী পার না হতে পারলে আমরা নিজেরাও ক্ষতির সম্মুখীন হব। কারণ কোম্পানি আমাদেরকে ট্রিপ হিসেবে খরচ প্রদান করেন। সময়মতো পণ্য পৌঁছাতে না পারলে নিজেদের খরচ নিজেরাই বহন করতে হবে।
বিআইডব্লিউটিএ ভোলা নদীবন্দরের উপ-পরিচালক মো. রিয়াজ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ৩নং সতর্কতা সংকেত ও বৈরী আবহাওয়া বিরাজমান থাকায় ইলিশা-ঢাকা, চরফ্যাশন বেতুয়া-ঢাকা, মনপুরা, ইলিশা-মজু, চোধুরীঘাট, ভেদুরিয়া-বরিশালসহ ভোলার অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার ৮টি রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত ভোলার ৮টি রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
এদিকে বিআইডব্লিউটিসির ভোলা ইলিশা ফেরিঘাট ব্যবস্থাপক মো. কাওসার আহমদ বলেন, লঘুচাপের কারণে নদী উত্তাল থাকায় ভোলার ২ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
খাইরুল ইসলাম/আরকে