চামড়া সংরক্ষণে এতিমখানা ও কওমি মাদরাসায় দেওয়া হচ্ছে ১২০ টন লবণ

চামড়া শিল্পের সংকট নিরসনে এবং চামড়ার মান নিয়ন্ত্রণের জন্য এ বছর থেকে এতিমখানা ও কওমি মাদরাসায় সরকারি ভর্তুকিতে লবণ দিচ্ছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় মৌলভীবাজার জেলায় ১২০ টন লবণ দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার ১৭৭টি এতিমখানা ও কওমি মাদরাসায় লবণ বিতরণ করা হচ্ছে। তার মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩টি, কমলগঞ্জ উপজেলায় ১৬টি, রাজনগর উপজেলায় ৩৯টি, কুলাউড়া উপজেলায় ৩৫টি, জুড়ী উপজেলায় ২২টি, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৩০টি ও বড়লেখা উপজেলায় ২২টি এতিমখানা, কওমি ও হাফিজিয়া মাদরাসায় এই কার্যক্রম চলছে।
কোরবানির পশুর চামড়ার মান নিয়ন্ত্রণে প্রত্যেক গরুর জন্য ৮ কেজি, মহিষের জন্য ১০ কেজি, ভেড়ার জন্য ৪ কেজি ও ছাগলের জন্য ৩ কেজি লবণ দেওয়া হচ্ছে। চামড়া সংরক্ষণের জন্য ১৭৭টি মাদরাসায় আলাদা করে সংরক্ষণাগার করতে হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এবছর সরকার জেলাগুলো থেকে কোরবানির দিন হতে পরবর্তী সাত দিন ঢাকার অভ্যন্তরে চামড়া ঢুকতে দেবে না। তাই জেলায় জেলায় চামড়া সংরক্ষণের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যেহেতু দেশের অধিকাংশ কোরবানি দাতা কোরবানির চামড়া এতিমখানা, হাফিজি ও কওমি মাদরাসায় দান করেন। এজন্য স্থানীয় প্রশাসন কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অস্থায়ীভাবে চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা করছে।
এদিকে চামড়া সংরক্ষণ ও মান নিয়ন্ত্রণের জন্য মাদরাসাগুলোকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যার মাধ্যমে সঠিকভাবে জেলা প্রশাসন তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাঈল হোসেন বলেন, চামড়া আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সম্পদ। এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিখাত। কোরবানির সময়ে কাঁচা চামড়া সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, সঠিকভাবে সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এই জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা আমাদের সব নাগরিকের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, কাঁচা চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণে জেলার প্রতিটি উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়নে মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচার প্রচারণা আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে চালানো হবে। সেই সঙ্গে প্রত্যেক এতিমখানা, হাফিজিয়া ও কওমি মাদরাসায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লবণ পৌঁছানো হবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে।
আশরাফ আলী/আরকে