শহীদ মিনার মাঠে পশুর হাট, সমালোচনার মুখে বন্ধ

বরগুনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে পশুর হাট বসানো হয়েছে। বৃষ্টির কারণে মাঠে কাদা থাকায় শহীদ মিনারের বেদিতে জুতা পায়েই উঠে পড়েছেন অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতারা। এতে নানা মহলের আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হলে প্রশাসনের তৎপরতায় শহীদ মিনার থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় তাদের।
বুধবার (৪ জুন) বিকেলে পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক অনিমেষ বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে জানান, শহীদ মিনারের মাঠে গরুর বাজার না বসাতে ইজারাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩ জুন) বরগুনা পৌরসভার টাউন হল এলাকার শহীদ মিনার মাঠ প্রাঙ্গণে বিকেল ৩টার দিকে এ অস্থায়ী পশুর হাটটি বসানো হয়। তবে সন্ধ্যার পরপরই হাঠের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।
অপরদিকে শহীদ মিনার মাঠ প্রাঙ্গণে পশুর হাট বসানোয় নানা মহলে অলোচনা-সমালোচনার পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই পোস্ট করেছেন। এদের মধ্যে অনেকেরই দাবি- বরগুনার আশেপাশে অন্য কোনো যায়গায় এই পশুর হাট বসালে শহীদ মিনারের অসম্মান হতো না।
খেলাঘর বরগুনা শাখার চারুকলা বিষয়ক সম্পাদক সাংস্কৃতিক ও পরিবেশকর্মী মো আরিফুর রহমান বলেন, গরুর বাজার বসানোয় শহীদ মিনার মাঠে বিভিন্ন এলাকার ক্রেতা বিক্রেতারা এসেছেন। একদিকে মাঠে জায়গা কম, অপরদিকে কাদা থাকায় বেশিরভাগ মানুষ মিনারের বেদিতে উঠেছেন। তবে তারা সবাই জুতা পায়ে ওঠায় শহীদ মিনারের প্রতি অসম্মান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না।
শহীদ মিনারের মাঠে গরুর হাট বসানোর বিষয়ে জানতে ইজারাদার তহিদুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বরগুনা পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক অনিমেষ বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওখানে এমনিই গরু-ছাগল বেচাকেনা করে। কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে শহীদ মিনার মাঠে গরুর বাজার বসানোর জন্য ইজারাদারকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হওয়া কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট গরুর বাজারের ইজারাদারকে ডাকা হয়েছে। পরবর্তীতে আর গরুর বাজার না বসাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আব্দুল আলীম/আরএআর