রাজবাড়ীর পদ্মাপুলকে দর্শনার্থীদের ভিড়

রাজবাড়ীর সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গোদারবাজার পদ্মা নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র ‘পদ্মাপুলক’। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এ পর্যটন কেন্দ্রে মানুষের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে এসেছেন এখানে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে ‘পদ্মাপুলক’।
ঈদের দ্বিতীয় দিনে রোববার (৮ জুন) বিকেলে সদর উপজেলার গোদারবাজার পদ্মার পাড়ে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
কেউ বা পরিবার-পরিজন নিয়ে আবার কেউ বন্ধুদের সাথে এসেছে পদ্মার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পদ্মাপুলকে এসেছেন। ঈদকে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী বিভিন্ন খাবারে দোকান, খেলনার দোকান,কসমেটিক্সের দোকান। এছাড়াও শিশু ও কিশোরদের বিনোদনের জন্য রয়েছে নাগরদোলা, ইঞ্জিন চালিত ম্যাজিক বোটসহ বিভিন্ন প্রকার রাইড।
পদ্মার পাড়ে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা কেউ তুলছেন সেলফি, কেউ ঘুরছেন ইঞ্জিন চালিত নৌকাতে। আবার অনেকে নদীর পাড়ে বসে সময় কাটাচ্ছেন।
দর্শনার্থী রিফাতুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে রাজবাড়ীতে এসেছি পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে। তাই আজ ঈদের দ্বিতীয় দিনে পরিবার নিয়ে পদ্মার পাড়ে ঘুরতে এসেছি। এসে ভালোই লাগছে। বসার জন্য এখানে বেঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেলফি বা ছবি তোলার জন্য এখানে একটি আই লাভ রাজবাড়ী লেখা সম্বলিত একটি অবগুণ্ঠন তৈরি করা হয়েছে। সবাই এখানে এসে ছবি তুলছে। তবে পদ্মার পাড়ে দর্শনার্থীদের বসার জন্য আরও বেঞ্চের ব্যবস্থা করলে ভালো হবে।
দর্শনার্থী রফিক, সাজ্জাদ, সাদিকুল, অন্তর, ফয়সাল, রাতুলসহ একাধিক দর্শনার্থী বলেন, রাজবাড়ীতে একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র বা পর্যটক কেন্দ্র বলতে এই গোদারবাজার পদ্মার পারটাই রয়েছে। ঈদ কিংবা যেকোনো উৎসবে দর্শনার্থীরা এখানে একটু নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য আসে। পদ্মার পাড়ে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য প্রশাসনের আরও কাজ করা উচিত বলে আমরা মনে করি। বৃষ্টি হলে এখানে পর্যটকদের দাঁড়ানোর জন্য ছাউনি নেই। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।

রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, রাজবাড়ীতে বিনোদন কেন্দ্র বা পর্যটন কেন্দ্রের খুবই অভাব। আমি জেলায় যোগদান করার পর গোদারবাজার পদ্মার পাড়টা আমার নজরে আসে। আমি এটিকে পর্যটন পয়েন্ট করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করি। এর মধ্যে এখানে পর্যটকদের বসার জন্য বেঞ্চ, গোলঘর বানানো হয়েছে। ওয়াশ ব্লকের কাজ করা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি গোদারবাজার পদ্মার পাড়কে পর্যটন পয়েন্টে রূপান্তর করার।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এমএ