হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ১০ মাস পর হত্যা মামলা, ওসি বদলি

রংপুরে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়ায় পালিয়ে যাওয়ার সময় হার্ট অ্যাটাকে মুদি দোকানদার ছমেছ উদ্দিন মারা যাওয়ার ১০ মাস পর ‘হত্যা মামলা’ দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তদন্ত ছাড়াই এজাহারভুক্ত সর্বশেষ আসামি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তার করে তড়িঘড়ি কারাগারে পাঠানো হয়।
এই মামলা গ্রহণ ও আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া। গ্রেপ্তার শিক্ষকের মুক্তি এবং মিথ্যা হত্যা মামলা দায়েরের নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের শনাক্তসহ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অবশেষে বিতর্কের মুখে ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও হাজিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আল মামুন শাহকে বদলি করা হয়েছে।
রোববার (২২ জুন) রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মজিদ আলী স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বদলি আদেশ থেকে জানা গেছে, হাজিরহাট থানার ওসিকে মহানগর ডিবির পরিদর্শক ও মহানগর ডিবির পরিদর্শক রাজিবুল ইসলামকে হাজিরহাট থানায় ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রোববার বিকেলে রংপুর মহানগর দায়রা জজ আদালতে শিক্ষক মাহমুদুল হকের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক মোছা. মার্জিয়া খাতুন।
এর আগে দুপুরে দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মো. সোয়েবুর রহমানের আদালতে জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে তিনি মঙ্গলবার (২৪ জুন) জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
পরবর্তীতে মাহমুদুল হকের আইনজীবীরা রংপুর মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের জন্য শরনাপন্ন হলে বিচারক মোছা. মার্জিয়া খাতুন শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করেন। এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুলাই হাজিরার দিন ধার্য রয়েছে।
মাহমুদুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীম আল মামুন জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, যে মামলায় মাহমুদুল হককে আসামি করা হয়েছে মামলার বাদী এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। এমনকি আসামিকে চিনেনও না। আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের পর যে শিক্ষক প্রতিবাদ জানিয়েছেন তার বিরুদ্ধে মামলা এবং তাকে গ্রেপ্তার করা জুলাই চেতনার পরিপন্থি।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর