হাতিয়ার ওসি’র প্রত্যাহার চাইলেন ছাত্রঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় রাজনীতি ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক সাহারাজ উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা। হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পরও সঠিক তদন্ত ও সহযোগিতা না পাওয়া এবং উল্টো মামলার আসামি হওয়ার অভিযোগ তুলে হাতিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) প্রত্যাহার দাবি করেছেন তিনি।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে জেলা শহর মাইজদীতে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাহারাজ উদ্দিন এসব অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে সাহারাজ জানান, হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়নের বিরবিরি গ্রামে তার বাবা-মা ও ছোট দুই ভাই বসবাস করেন। পারিবারিক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী নেছার উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, সালা উদ্দিন ও রাসেলসহ কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। গত ২৪ জুন (মঙ্গলবার) দুপুরে সালিশ চলা অবস্থায় ওই প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার পরিবারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তার বাবা সিরাজ উদ্দিন, মা ও আরও দুইজন গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, পরে আমার বাবা ছয়জনের নাম উল্লেখ করে হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে মামলা করার পর থানা পুলিশের ওসি কোনো ধরনের সহযোগিতা করেননি বরং হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা মামলা নিতে উৎসাহ দিয়েছেন। যেখানে আমরা প্রথমে মামলা করলাম সেখানে উল্টো মামলা দিয়ে আমার চাচাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি হাতিয়ায় ছিলাম না, আমার ছোট ভাই নাহিদও চট্টগ্রামে চাকরিতে ছিল। এছাড়া আমার ভাই নীরবের বয়স ১৫ ও চাচাতো ভাই শান্তর বয়স মাত্র ১৩ বছর তাদেরও মামলায় আসামি করা হয়েছে। এটি পুরোপুরি হয়রানি। বর্তমানে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং থানা কিনে নিয়েছেন বলে আমাদের হুমকি দিচ্ছেন। আমরা ভুক্তভোগী হয়েও পালিয়ে বেড়াচ্ছি এবং নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। তাই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি এবং হামলাকারীদের পক্ষ অবলম্বন করায় হাতিয়া থানা পুলিশের ওসি একেএম আজমল হুদার প্রত্যাহার দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম সুমন, নোয়াখালী জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি ওসমান গনি রুবেল, নোয়াখালী পৌরসভা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মোবারক হোসেন রাফি, সহ-সভাপতি মোবারক হোসেন এবং নোয়াখালী জেলা যুব অধিকার পরিষদের উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ রাকিব।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুলিশ কাউকে হয়রানি করছে না। আইনের চোখে সবাই সমান। তাদের বাড়ির মাঝখানের উঠানের জায়গা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। এর জেরে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়, যাতে দুইপক্ষের লোকজন আহত হয়েছিল। থানায় উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা দিয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হাসিব আল আমিন/এমএএস