বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন নাজমুল, মরদেহের পাশে মিলল চিরকুট

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ‘নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না’ চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (২ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে উপজেলা বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
নিহত যুবক বিশ্বাস নাজমুল হাসান (২৫) উপজেলার বালিডাঙ্গা গ্রামের বিশ্বাস আ. হকের ছেলে।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম শামীম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর ও উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আ. রাজ্জাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে প্রাথমিক সুরোতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে ওই যুবক ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহের পাশে থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতের বাবা বিশ্বাস আ. হক বলেন, বুধবার ভোরে তার ছেলেকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো ঝুলান্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিই।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, নাজমুল বেশ কিছুদিন ধরে দুশ্চিন্তা ও বিষন্নতায় ভুগছিলেন। ছেলের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবারকে কিছু বলেনি। মরদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আব্বা, আম্মা, হাজেলা আপা, জিয়া ভাই, জিনিয়া তাকরিমসহ সবাই আমাকে মাপ করে দিও, সবাই ভালো থেকো। আমার মৃত্যুর জন্য কেহ দায়ী না। হিংসা অহংকার মানুষকে শেষ করে দেয়। আমি ততটা মানুষিক যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারছি না। তাই এই পথ বেছে নিলাম। নিজেকে নিজেই বিরক্ত লাগছে। কিছু মানুষ আমার কাছে টাকা পাবে দিয়ে দিও। আর আমার আব্বা হলো পরিবারের রাজা, কিন্তু আমি যা করেছি তার জন্য নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারবো না। তাই এই পথ বেছে নিলাম। সবার অপ্রিয় বিশ্বাস নাজমুল।’
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পাশে যে চিরকুট পাওয়া গেছে তা ওই যুবকের লেখা কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসলে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা যাবে।
শেখ আবু তালেব/এএমকে