পুলিশের এলোপাতাড়ি পিটুনিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আহত
কুড়িগ্রামের উলিপুরে সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের এলোপাতাড়ি পিটুনিতে রফিকুল ইসলাম হবি (৬৮) নামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধা গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার (৯ জুন) দুপুরে (উলিপুর-রাজারহাট) সড়কে উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের তেজার মোড় গাজীর দরগাস্থ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এলাকার বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হানিফ পরিবহনের ঢাকাগামী একটি বাস উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের আব্দুল হাদি পঞ্চায়েত পাড়ার বাসিন্দা মঞ্জু আলম (৪০) ও তার ছেলে রুহানকে (৭) ধাক্কা দিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিকে ধাওয়া দিয়ে আটকে রাখে এবং আহত বাবা-ছেলেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরদিন বুধবার দুপুরে উলিপুর থানার একদল পুলিশ বাসটিকে উদ্ধার করতে (তেজার মোড়) এলাকায় হাজির হন। এদিকে আগে থেকেই ওই এলাকায় ২০ থেকে ২৫ জন স্থানীয় জনতা উপস্থিত ছিলেন। পরে মানুষজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশ সদস্যরা এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করেন।
এ সময় আহত মঞ্জু আলমের ফুফা বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকায় মারধরের শিকার হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় আজাহার আলী (৬০), জাহিদ বাবু (১৭)-সহ বেশ কয়েকজন মারধরের শিকার হন। পরে উপস্থিত লোকজন আহত মুক্তিযোদ্ধাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিটের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চরম উত্তেজনা শুরু হয়।
আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম হবি বলেন, ঘটনাস্থলে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় পুলিশ এসে বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এরপর আমার আর কিছু মনে নেই।
উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, হানিফ পরিবহনের লোকজনের ওপর স্থানীয় জনতা যখন চড়াও হয়, তাদের সামলাতে গিয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধা নাকি পড়ে গিয়েছিলেন রাস্তায়। পরে আমরা জানতে পেরেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-এ-জান্নাত রুমি ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুনেছি জনরোষ থামাতে গিয়ে তিনি নাকি আঘাত পেয়েছেন। তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত।
মো. জুয়েল রানা/এনএ