নোয়াখালীর উপকূলজুড়ে ঝোড়ো বাতাস ও থেমে থেমে বৃষ্টি

উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
রোববার (৬ জুলাই) ভোররাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি বর্তমানে হালকা থেকে মাঝারি আকারে থেমে থেমে অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে উপকূলজুড়ে বয়ে যাচ্ছে দমকা হাওয়া। এতে করে নৌপথ ও সমুদ্রপথ কিছুটা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট বায়ুচাপের তারতম্যের প্রভাবে সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রাকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নোয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সুবর্ণচর উপজেলার কৃষক মো. সিরাজ উদ্দিন বলেন, সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। দোকানপাটে লোকজনের আনাগোনা নেই বললেই চলে। অধিকাংশ মানুষ ঘরে বসে আছে, কেউ কাজে যেতে পারছে না। বৃষ্টির কারণে পোকার আক্রমণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এর আক্রমণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মাসুম রেজা ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেঘনা নদীতে সাগরের মতো ঢেউ ওঠে এবং একই সঙ্গে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষেরা কর্মহীন অবস্থায় আছে।
এছাড়া ভোগান্তিতে পড়েছে তারা। স্বাভাবিক কর্মে স্থবিরতা নেমে শহর থেকে গ্রামীণ জনপদে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও পড়েছে এর প্রভাব।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে উপকূলে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা অনুযায়ী আমরা নির্দেশনা প্রদান করছি। সতর্কতা হিসেবে জেলেদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। প্রশাসন সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
হাসিব আল আমিন/আরকে