বৈরী আবহাওয়ায় পর্যটক নেই, কুয়াকাটায় বিপাকে বহু মানুষ

টানা বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা সৈকত। গত কয়েকদিনের মতো আজ (বৃহস্পতিবার) সকালেও উপকূলের আকাশ জুড়ে ছিল কালো মেঘ, চলছিল বৃষ্টি।
এ পরিস্থিতিতে বেশ বিপাকে পড়েছেন এই সৈকত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িতরা। এর মধ্যে রয়েছেন— হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী, রেস্তোরাঁ মালিক, পরিবহন চালক, ট্যুর গাইড, ফটোগ্রাফার, ফেরিওয়ালা, কুড়িয়ে আনা সামগ্রী বিক্রেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় হস্তশিল্প নির্মাতা ও সৈকতের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও। পর্যটক না থাকায় তাদের আয় রোজগার হচ্ছে না গত কয়েকদিন ধরে।
হোটেল তাইমুন প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মামুন হাওলাদার জানান, গত তিন সপ্তাহ ধরে তাদের হোটেলে তেমন কোনো বুকিং নেই। কক্ষগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। কর্মচারীদের বেতন দেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে।

রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি কলিম মাহমুদ জানান, আগের মতো পর্যটকদের ভিড় নেই, যার ফলে রান্না করা খাবার নষ্ট হচ্ছে। বিক্রি না হওয়ায় প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে। কুয়াকাটার অধিকাংশ খাবার হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল, তাই পর্যটক না থাকায় আমরা খুব খারাপ সময় পার করছি।
সৈকতে পর্যটকদের ছবি তুলে দেওয়া ফটোগ্রাফার আরিফ হোসেন বলেন, পর্যটক না থাকলে আমাদের কোনো আয় থাকে না। এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে কীভাবে দিন কাটাবো বুঝতে পারছি না।
আরও পড়ুন

হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৯৫ শতাংশ হোটেল রুম খালি। কিছু পর্যটক এলেও আবহাওয়া খারাপ দেখে ফিরে যাচ্ছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, পর্যটকের সেবায় আমাদের টিম মাঠে রয়েছে। মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে যেন কেউ সমুদ্রে বেশি দূর না যায়। কুয়াকাটায় বর্তমানে তেমন কোনো পর্যটক নেই। পর্যটক না থাকলেও আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করছি।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার জাহান বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘু চাপের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে আগামীকাল পর্যন্ত। সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রয়েছে।’
এসএম আলমাস/এনএফ