রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে এসএসসিতে সাত বছরের সর্বনিম্ন ফলাফল এবার

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে গেল সাত বছরের তুলনায় এ বছর (২০২৫) সর্বনিম্ন। এ বছর কমেছে পরীক্ষার্থী, পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। পাসের হারও ৭৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ ফলাফল নিয়ে এ বছর (২০২৫) দেশসেবা হয়েছে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড।
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে ২০১৯-২০২৫ সালের প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সাত বছরে পাসকৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৪৬ হাজার ৮৪৫ জন। একই সময়ে পরীক্ষার্থী কমেছে ২২ হাজার ৪৩ জন। কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার। এসময়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্তি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৪৬৮ জন।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪ হাজার ৮৩৫ জন। ওই বছর পাস করেছিল ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৮ জন। পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২২ হাজার ৭৯৫ পরীক্ষার্থী।
২০২০ সালে শিক্ষাবোর্ডটিতে কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১ হাজার ২২৯ জন। পাস করেছিল ১ লাখ ৮০ হাজার ৯০২ জন। পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৬ হাজার ১৬৭ পরীক্ষার্থী।
২০২১ সালে শিক্ষাবোর্ডটিতে পরীক্ষার্থী, পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যায়।শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৮ হাজার ৭৯৭ জন। পাস করেছিল ১ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ জন। পাসের হার ছিল ৯৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৭ হাজার ৭০৯ পরীক্ষার্থী।
২০২২ সালে শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯৩ হাজার ৩১৪ জন। পাস করেছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৮১ জন। পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪২ হাজার ৫১৭ পরীক্ষার্থী।
২০২৩ সালে শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩০ জন। পাস করেছিল ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৫৮ জন। পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৬ হাজার ৮৭৭ পরীক্ষার্থী।
২০২৪ সালে শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৮৫৩ জন। পাস করেছিল ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫৮ জন। পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৮ হাজার ৭৪ পরীক্ষার্থী।
২০২৫ সালের শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৯২ জন। বছর পাস করেছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৩ জন। পাসের হার ৭৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২২ হাজার ৩২৭ পরীক্ষার্থী। এ বছর পরীক্ষার্থী, পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।
শাহিনুল আশিক/এমএএস