দিন-রাত মিলে সাত থেকে আট ঘণ্টা পড়েছে কৃপা

সানজিদা মারিয়া কৃপা এ বছর ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি (মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছেন। মেয়ের এমন সাফল্যে তার পরিবার ও শিক্ষকরা গর্বিত। ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২১২ নম্বর পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগে অসাধারণ ফল করেছে কৃপা।
সানজিদা মারিয়া কৃপা ঠাকুরগাঁও শহরের হাজিপাড়া এলাকার কামরুল হাসান ও লুবনা আক্তার দম্পতির একমাত্র মেয়ে। মেয়ের এমন রেজাল্টে মা-বাবার যেন আনন্দের শেষ নেই।
কামরুল হাসান পেশায় একজন ওষুধ ব্যবসায়ী। পাশাপাশি তিনি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় কাজ করেন। আর মা লুবনা আক্তার গৃহিণী। এই দম্পতির এক ছেলে এক মেয়ে। সানজিদা মারিয়া কৃপা ছোট। ছেলে লাবিব হাসান ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ঠাকুরগাঁও ইকো কলেজ অ্যান্ড পাঠশালা থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা সাউথ-ইস্ট ভার্সিটিতে বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন। 
সাংবাদিক কন্যা কৃপা শুধু পড়াশোনা নয়, পাশাপাশি আর্ট, কবিতা আবৃত্তিসহ নানান গুনের অধিকারী। বাড়িতে তার বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও বিজয়ী সনদপত্র এবং ট্রফি দিয়ে ভরে রয়েছে। তবে কৃপার ইচ্ছা সে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করবে।
সানজিদা মারিয়া কৃপা ঢাকা পোস্টকে বলে, গড়ে ৭-৮ ঘণ্টা করে পড়েছি। ভালো ফল হবে আশা করেছিলাম, তবে নম্বর কেমন আসবে, তা নিয়ে কিছুটা চিন্তায় ছিলাম। নম্বর দেখার পর নিজেরই অনেক ভালো লেগেছে। ভালো ফলাফলের কারণ হলো আমি সময়কে বেশি প্রধান্য দিতাম। সময় অপচয় করতাম না। দিন-রাত মিলে আমি ৭-৮ ঘণ্টা বই নিতে থাকতাম। তবে আমার ভালো ফলাফলের পেছনে সব চেয়ে বেশি অবদান রয়েছে আমার মা-বাবা ও শিক্ষকদের। তারা আমাকে প্রতিনিয়তই পড়াশোনার দিক থেকে সাহায্য করেছে। আল্লাহর রহমত। মা-বাবার দোয়া। শিক্ষকদের সঠিক পরামর্শ। নিজের চেষ্টায় একটি ভালো রেজাল্ট করেছি। আমার স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়া। আল্লাহ যেন আমার এ স্বপ্নটা পূরণ করে।
পরবর্তীতে যারা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে তাদের উদ্দেশ্যে কৃপা বলে, যারা আগামী ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে তারা যেন সময়কে গুরুত্ব দেয়। সময় কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবে না। পরীক্ষার ঠিক কয়েক মাস আগে যে সিলেবাস অনুযায়ী পড়াশোনা করে। বেশি বেশি করে যেন টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নেয়। কারণ পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা আমাদের ভুলগুলো বুঝতে পারবো। আর গাইড বই না পড়ে, সবার আগে মূল বই পড়তে হবে।
কৃপার মা-বাবা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার মেয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপি-৫ পেয়েছে। তার এই সাফল্যে আমরা অত্যন্ত খুশি ও আনন্দিত। আমাদের মেয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৬৪ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তার মধ্যে ২৩৪ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। বাকিরা উত্তীর্ণ হয়েছে। একজন ফেল করেছে।
মিলন/এমএএস