জমি নিয়ে বিরোধে যুবককে হত্যা, বাবা ছেলেসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন

পিরোজপুরের নাজিরপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাদশা শেখ নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।বু
ধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। একইসঙ্গে তাদের উভয়কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ঘটনায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই নারী আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল কালাম আকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মধ্য হোগলাবুনিয়া গ্রামের হাতেম আলী শেখ (৬৬), তার দুই ছেলে মাজেদুল ইসলাম ডালিম (৪১) ও সেলিম শেখ (৪৬) এবং মো. জাহাঙ্গীর শেখ (৫১)। তবে মামলা চলাকালীন সময়ে হাতেম আলী শেখ মারা যান।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, হাতেম আলী শেখের স্ত্রী সেফালি বেগম (৫৬) এবং জাহাঙ্গীর শেখের স্ত্রী হাসি বেগম (৩৮)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মধ্য হোগলাবুনিয়া গ্রামের বাদশা শেখ বাড়ি থেকে ধান নিয়ে অন্যত্র শুকানোর জন্য যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের ১৪-১৫ জন লোক তার উপর হামলা করে। হামলাকারীরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে নাজিরপুর থানা পুলিশের সহায়তায় স্বজনরা বাদশাকে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরেরদিন ৮ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত বাদশা শেখের স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদী হয়ে নিহতের দিনই ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে নাজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাজিরপুর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এস আই) সাইদুর রহমান ঘটনার পরের বছর ২০১৮ সালের ২১ মার্চ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ২২ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল কালাম আকন বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে হত্যার অপরাধে আদালত ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে এদের মধ্যে হাতেম আলী শেখ নামে একজন মামলা চলাকালীন সময়ে মারা যান। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত ২ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
শাফিউল মিল্লাত/এনটি