আশাশুনিতে সুপেয় পানির সংকট, বৃষ্টিই এখন ভরসা

সাতক্ষীরার উপকূলীয় জনপদ আশাশুনিতে সুপেয় পানির সংকট এতটাই তীব্র যে, এখন বৃষ্টির পানিই হয়ে উঠেছে একমাত্র ভরসা। সেই পানি যেন সহজে সংরক্ষণ করা যায়, সেজন্য বুধবার (১৬ জুলাই) উপজেলার চাপড়া এলাকায় দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মাঝে বিতরণ করা হলো পানির ট্যাংক।
বারসিক বাংলাদেশের বাস্তবায়নে এবং নেটজ্ বাংলাদেশের সহায়তায় ‘জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা শক্তিশালীকরণ (পরিবেশ) প্রকল্প’-এর আওতায় এসব ট্যাংক দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় বলেন, “সুপেয় পানির এই অঞ্চলে দীর্ঘদিনের সমস্যা। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে এই সংকট অনেকাংশে কাটানো সম্ভব। এমন উদ্যোগ যেন অব্যাহত থাকে।”
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আশাশুনি ও শ্যামনগরের ৮টি ইউনিয়নে এক হাজার লিটারের ৫৯৭টি ও তিন হাজার লিটারের ২টি পানির ট্যাংক বিতরণ করা হবে। এই ট্যাংকগুলো সরবরাহ করা হবে স্থানীয় সিএসও সদস্যদের মাঝে।
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বারসিকের উপজেলা সমন্বয়কারী আসাদুল ইসলাম, জেলা সমন্বয়কারী মো. মাসুম বিল্লাহ, ইউএনও’র সহকারী একেএম মাহবুবুল হক, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা, স্থানীয় সাংবাদিক, আইডিয়াল কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
স্থানীয় এক উপকারভোগী নারী সালেহা বেগম বলেন, আমাদের এলাকায় পুকুরের পানিও এখন লবণাক্ত। এক কলসি মিঠা পানি আনতে দুই-তিন কিলোমিটার হাঁটতে হয়। এখন যদি বাড়িতেই বৃষ্টির পানি জমাতে পারি, তাহলে একটু স্বস্তি পাব।
সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ভরাট হয়ে গেছে মিঠা পানির উৎস। অনেক খাল-বিল, পুকুর লবণাক্ত হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী। ফলে বছরজুড়েই পানি সংকটে ভোগে এই অঞ্চলের লাখো মানুষ।
ইব্রাহিম খলিল/আরকে