সেনাসদস্য পরিচয়ে বিয়ে করতে গিয়ে ধরা, বর ও ঘটককে পিটুনি

পরনে সুন্দর পোশাক, সেনাবাহিনীর মতো করে কেটেছেন চুল। সাথে রেখেছেন সেনাবাহিনীর আইডি কার্ড, আছে সেনা পোশাকের একটি ছবিও। দেখে সবাই মনে করবেন তিনি সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। এমনভাবে তিনি এসেছিলেন বিয়ে করতে, সাথে ঘটকও রেখেছিলেন। নিজেকে সেনাসদস্য পরিচয় দেন, নাম বলেন আবু সাঈদ।
তবে মেয়ের পরিবারের পক্ষের ঘটকের সন্দেহ হলে বিভিন্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। এক পর্যায়ে জানা যায় তিনি সেনাসদস্য নন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুজনকে দেওয়া হয় পিটুনি। সোপর্দ করা হয় পুলিশের কাছে।
এমন ঘটনা ঘটেছে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায়। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে ওই উপজেলার পাঠানপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই দুই ব্যক্তির নাম সদরুল ইসলাম (৩৮) ও আব্দুর রহিম (৫০)। সদরুল ইসলাম গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার হরিনাথপুর বিশপুকুর গ্রামের বাসিন্দা এবং আব্দুর রহিম ক্ষেতলালের হোপ গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদরুল ইসলাম নিজেকে সেনাসদস্য বলে পরিচয় দেন। ক্ষেতলালের হোপ গ্রামের স্থানীয় ঘটক আব্দুর রহিমের সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি বিয়ে করবেন বলে মেয়ে দেখতে বলেন। আব্দুর রহিম তার নিজ গ্রামের একটি বাড়ির মেয়ের সাথে বিয়ের জন্য ছেলে সদরুলের কথা বলেন। এ নিয়ে কথাবার্তাও হয়। নাম গোপন রেখে সদরুল ইসলাম নিজেকে আবু সাইদ বলে পরিচয় দেন। আব্দুর রহিম একই গ্রামের আরেকজন ঘটকের সাথে যোগাযোগ করেন। তাকে মেয়ে পক্ষের হয়ে কাজ করতে বলেন। পরে তারা পাঠানপাড়া বাজারে এসে কথাবার্তা বলেন। একপর্যায়ে সদরুলের কথাবার্তা ও আইডি কার্ড দেখে সন্দেহ হয়। সেসময় তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সেনাসদস্য নয় বলে স্বীকার করেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত মেয়ের পরিবার ওই ভুয়া সেনাসদস্যের প্রতারণার বিষয়টি জেনে যায়। পরে সেখানে থাকা লোকজন তাদের আটকে পিটুনি দেন। খবর পেয়ে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দুজনকে ধরে থানায় নিয়ে যান।
ক্ষেতলাল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এস এম কামাল হোসেন বলেন, ওই দুজনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানা আনা হয়েছে। এদের মধ্যে সেনাসদস্য পরিচয় দেওয়া ওই প্রতারকের নামে দুটি মামলা আছে। তিনি আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
চম্পক কুমার/আরএআর