কক্সবাজারের অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সারজিস

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে কক্সবাজার সফরে আসা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ৫ শীর্ষ নেতার একজন সারজিস আলম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ফেসবুকে লাইভ করেছেন। বুধবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সৈকতে দাঁড়িয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ মিনিট ১৩ সেকেন্ড লাইভ করেন সারজিস।
সারজিসের সেই লাইভ ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা ছিলো, ‘এনসিপির ২১ নং ইশতেহার-জলবায়ু সহনশীলতা ও নদী-সমুদ্র রক্ষা।’ ভিডিওতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ২১ নং ইশতেহারের প্রেক্ষাপটে কথা বলা শুরু করেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
তিনি বলেন, আমাদের বিশাল সম্ভাবনার জায়গা এই সমুদ্র। এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে-আমরা কীভাবে এই সমুদ্রকে, আমাদের বায়োডাইভারসিটিকে রক্ষা করতে পারি, সমুদ্র তীরবর্তী মানুষের টেকসই জীবনধারণ কীভাবে নিশ্চিত করতে পারি? আমাদের আশঙ্কা অনেক বাড়িঘর সমুদ্রে বিলীন হতে পারে।
সারজিস বলেন, আমরা যেন সমুদ্রকে সম্পদে পরিণত করতে পারি। সমুদ্র থেকে যেন খনিজ সম্পদ আহরণ করতে পারি এবং সেগুলো যেন টেকসই হয়। আমাদের টেকসই নদী ও সমুদ্র দরকার।
বক্তব্যের একপর্যায়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলেন সারজিস।
তিনি বলেন, আমরা দেখছি, কক্সবাজারের যেখানে সেখানে ভবন তোলা হচ্ছে। কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। যেখানে সেখানে জমি দখল করছে। সরকারি কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে অবৈধভাবে জমি লিজ নিচ্ছে। সৈকতের পাড়ে প্রাচীর দেওয়া হচ্ছে।
পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ভিডিওতে বক্তব্য শেষ করেন এনসিপির এই নেতা।
জানা গেছে, সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় তিন এনসিপি নেতাসহ সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে সস্ত্রীক ঘুরতে যান সারজিস। সে সময় তিনি এই ভিডিও করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুউদ্দীন পাটওয়ারী, স্ত্রীসহ উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা বিমানযোগে কক্সবাজারে আসেন। তারা উখিয়ার ইনানীর হোটেল সী পার্লে এক রাত অবস্থানের পর বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে শহরের প্রাসাদ প্যারাডাইজ হোটেলে ওঠেন।
আরএআর