মধ্যরাতে আগুনে সেনবাগের ১২ দোকান পুড়ে ছাই

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পলি প্লাইবোর্ড কারখানাসহ ১২টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১২টা ২০ মিনিটে সেবারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পলি প্লাইবোর্ড কারখানার জেনারেটর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এ সময় পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। তবে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পরও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এবং থেমে থেমে জ্বলছে। অগ্নিকাণ্ডে ৬ থেকে ৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে মুহূর্তের মধ্যে তা বাজারের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের নিরলস চেষ্টায় প্রায় ৫ ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে এবং পুরোপুরি নির্বাপন হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, ১২টি দোকান পুড়ে গেলেও জনতা ব্যাংকসহ অন্তত অর্ধশতাধিক দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডার, মুদি মালামাল, ওষুধের দোকান রয়েছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। পলি প্লাইবোর্ড কারখানার জেনারেটর থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা ব্যবসীয়দের।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুর্ঘটনায় কোনো প্রাণহানীর খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের হিসাব অনুযায়ী পলি প্লাইবোর্ড কারখানাসহ মোট ১২টি দোকান পুড়েছে। অন্যান্য দোকানগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার, প্লাস্টিক, মুদি, ইলেকট্রনিকসহ নানা পণ্য ছিল। ছোট ছোট দোকানগুলোতে পার্টিশন ছিল বোর্ড বা টিন দিয়ে, তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
হাসিব আল আমিন/আরকে