যারা বলছে নির্বাচনী হতে দেবে না,তারা হঠকারী : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান

এনসিপিসহ যেসব রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচন পেছানোর পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছে, তাদের ‘হঠকারী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। নাম উল্লেখ না করে এনসিপির নেতা-কর্মীদের ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রাপ্তবয়স্ক’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সদর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহমেদ আযম খান। সেখানে তিনি বলেছেন, “যারা বলছে নির্বাচন হতে দেবে না,তারা হঠকারী বক্তব্যে রাখছে। এখনো বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রাপ্ত বয়স্কই হয়নি তাদের। তারা এখনো বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য প্রস্তুত না।অপ্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় রাজনীতিতে এসেছে বললেই এ ধরণের হঠকারী বক্তব্যে দিচ্ছে।”
আহমেদ আযম খান বলেন, “সম্প্রতি যেসব হঠকারী-বিভ্রান্তিকর বক্তব্যে আসছে—সেসব জনগণকে হতাশ করছে। কিন্তু জনগণ ঐক্যবদ্ধ, জনগণ ভোট দেবে। আজকে যারা বলছে,ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না, পিআর ছাড়া নির্বাচনে যাব না. বিচার সম্পূর্ণ ও সংস্কার সম্পূর্ণ না হলে নির্বাচনে যাব না….আমি বিশ্বাস করি, তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে তারা সকলেই নির্বাচনে চলে আসবে। ‘
তিনি বলেন,নির্বাচনী ঘোষণার সাথে সাথেই বাংলাদেশের সকল মানুষ কিন্তু নির্বাচনমুখী হয়ে আছে। তাদের মধ্যে একটি নির্বাচনের আমেজ তৈরি হয়ে গেছে। রাজনৈতিক সকল নেতাকর্মীর মধ্যে নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছি।
“এই মূহূর্তে দুই-একটি রাজনৈতিক দল আছে যারা জনগণের ভোটকে ভয় পায়। তারা কিছু হট্টকারী বক্তব্যে দিচ্ছে। তারা কেউ কেউ বলছে নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই। পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত জনগণ কিছু বুঝে না। আমরা যারা রাজনীতি করি,নির্বাচন করব তারাই পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে জানি না। কারন এই পিআর পদ্ধতি পৃথিবীর কয়েকটি রাষ্ট্রে আছে। একেক রাষ্ট্রে একেক পিআরের বাস্তবায়ন আছে। আমরা কোন পদ্ধতিতে যাব, জনগণ তো এই সম্পর্কে কিছু জানে না।”
আহমেদ আযম খান বলেন, জামায়াত এরকম কিছু বিভ্রান্তিকর বক্তব্যে দিচ্ছে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে আমরা আন্দোলনে যাব।অথচ জামাত কিন্তু বাংলাদেশের ৩০০ আসনে নমিনেশনের ঘোষণা দিয়েছে।এক দিকে নমিনেশন ঘোষণা করছে,আরেক দিকে আন্দোলনের কথা বলছে। এটা এক ধরণের দ্বিচারিতা ও ত্রিমুখীতা। এটা রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব শীলতার অভাব বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন,জাতি নির্বাচনের জন্য ঐক্যবদ্ধ।নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছে।বাংলাদেশের বড় সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করবে।আমরা বিশ্বাস করি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে উৎসব মুখোর নির্বাচন হবে।
বাসাইল সদর ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্যে রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম মিয়া, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর,উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক নুর নবী আবু হায়াত খান, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন,সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু প্রমুখ।
আরিফুল ইসলাম/এসএমডব্লিউ