‘প্লাস্টিকের উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়’

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে রোববার (১৭ আগস্ট) কক্সবাজার জেলার বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পৌর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে প্লাস্টিক পণ্যের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরা হয়েছে। পরে জনসচেতনতায় রাস্তায় প্ল্যাকার্ড হাতে নীরব অবস্থানে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। তারা শপথ নিয়ে বলেন ‘রিফিউজ পলিথিন’
এদিন দুপুরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মিলনায়তনে গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে সামুদ্রিক এই জেলায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যক্তি সচেতনতা বৃদ্ধি না পেলে আইন প্রয়োগে কোনো সুফল আসবে না বলে মত দেন জেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী ইবনে মায়াজ প্রামাণিকের।
তিনি বলেন, সর্বসাধারণের অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপনের কারণেই দেশে ডেঙ্গু, সর্দি ও জ্বরে এত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। প্লাস্টিক পণ্য রিসাইকেলের প্রতি জোর দেন তিনি।
গোলটেবিল বৈঠকে প্লাস্টিক ও পলিথিন পণ্য ব্যবহার বন্ধের প্রতি জোর দেন জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ম.: শাহীন মিয়া। এসকল পণ্য ব্যবহার বন্ধে প্রতিটি দফতরকে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্যের জন্য প্রতিটা বাড়িতে ভিন্ন ডাস্টবিনের ব্যবস্থা থাকলেও তা কেউ ব্যবহার করছে না। এছাড়া এর ব্যবহার হলেও সিটি কর্পোরেশন থেকে ময়লা সংগ্রহের পর তা আবার মিশিয়ে ফেলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্য শুধুমাত্র জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে না, এর কারণে সামুদ্রিক সম্পদও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সমুদ্রে মাছের পরিমাণ দিনদিন কমে যাচ্ছে।
এদিকে প্লাস্টিকের উৎপাদনে নিয়ন্ত্রণ আনার প্রতি জোর দেন দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, প্লাস্টিকের উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগের বিভাগের প্রধান ড. আফতাব হোসেন ও সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল কাবিল খান।
আরএআর
