সংযোগ সড়ক অসম্পূর্ণ রেখেই চালু হচ্ছে মওলানা ভাসানী সেতু

সংযোগ সড়ক অসম্পূর্ণ রেখেই চালু হচ্ছে কুড়িগ্রাম-গাইবান্ধা অঞ্চলের দ্বিতীয় তিস্তা সেতু। এর দৈর্ঘ্য এক হাজার ৪৯০ মিটার। যা ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ নামে আগামীকাল বুধবার (২০ আগস্ট) উদ্বোধন করা হবে।
সংযোগ সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় উদ্বোধনের পরও কুড়িগ্রামের চিলমারী অংশের মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে এই সেতুর সুফল পাবে না।
তিন দফা তারিখ পরিবর্তনের পর আগামীকাল এ সেতু উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিস্তা নদীর ওপর পিসি গার্ডার কাঠামোয় নির্মিত এই সেতু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় সংযোগ সড়কসহ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপীর বাজার থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা সদর পর্যন্ত। ১০ কোটি ৩৩ লাখ ২ হাজার ৮৩২ টাকার এ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ২০২৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি। একই বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু হলেও নির্ধারিত সময় ২০২৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করা সম্ভব হয়নি। পরে দুই দফায় সময় বাড়িয়ে নতুন মেয়াদ ধরা হয়েছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর।
কিন্তু উদ্বোধনের মাত্র এক দিন আগে সোমবার পর্যন্ত চিলমারী অংশের পাঁচ হাজার ২৩০ মিটার রাস্তার মধ্যে কিছু অংশ কার্পেটিং করা হলেও সিংহভাগ কাজই বাকি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মাটিকাটা মোড় থেকে চিলমারী সরকারি ডিগ্রি কলেজ মোড় পর্যন্ত কার্পেটিং সম্পন্ন হলেও কলেজ মোড় থেকে মুদাফতথানা সরকারপাড়া পর্যন্ত পুরোনো রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়েছে, যা যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী। সরকারপাড়া মোড় থেকে অপু হাজির ইট ভাটা পর্যন্ত রাস্তা পাকা করা হলেও পরবর্তী অংশের কাজ এখনও বাকি।
কুড়িগ্রাম এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুছ হোসেন বিশ্বাস বলেন, এটি একটি প্রকল্পের অধীনে হলেও সংযোগ সড়ক ও সেতুর জন্য আলাদা দুটি স্কিম করা হয়েছে এবং কাজ করছে ভিন্ন ভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেতুর নির্মাণকাজ ইতোমধ্যেই শেষ হওয়ায় উদ্বোধন করা হচ্ছে। তবে টানা বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রাম অংশের রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ করতে বিলম্ব হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করতে ঠিকাদারকে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
মমিনুল ইসলাম/আরকে