রংপুর বিভাগে নতুন আক্রান্ত ১৬৮, মৃত্যু ৫

ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা দেশের উত্তরের বিভাগ রংপুরে দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে করোনাভাইরাসের থাবা। প্রতিদিন আক্রান্তের সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর পরিসংখ্যানও। সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে চলাফেরা ও উদাসীনতা না কমলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্যবিভাগ।
প্রয়োজনে জেলায় জেলায় জোনভিত্তিক কঠোর লকডাউন দেওয়ার কথা বলছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক। গত ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
একই সময়ে বিভাগের আট জেলায় নতুন করে ১৬৮ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ৯০ জন রোগী। এ নিয়ে রংপুর বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৪৩৮ জনে পৌঁছেছে।
সোমবার (১৪ জুন) বিকেলে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আহাদ আলী ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিভাগে বর্তমানে ২০ হাজার ৪০৮ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৫ জন। বিভাগের প্রতিটি জেলাতে শনাক্ত ও মৃত্যুর হার বেড়েছে।
স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, রোববার বিভাগের আট জেলার ৫৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে নতুন করে ১৬৮ জন পজিটিভ রোগী পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় বিভাগের দিনাজপুুরে ৭০, ঠাকুরগাঁওয়ে ৪২, রংপুরে ১৬, লালমনিরহাটে ১৬, কুড়িগ্রামে ১৪, গাইবান্ধায় ৫, পঞ্চগড়ে ৩ এবং নীলফামারী জেলায় ২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। একই সময়ে দিনাজপুরে আক্রান্ত ৪ এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার পর্যন্ত দিনাজপুুর জেলায় করোনায় ৬ হাজার ৩৪১ জন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ১৫৮ জনে রয়েছে। রংপুর জেলায় ৫ হাজার ২৪৩ জন আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের। ঠাকুরগাঁও জেলায় ২ হাজার ৬ জন আক্রান্ত ও ৫৪ জনের মৃত্যু, গাইবান্ধা জেলায় ১ হাজার ৮১৬ জন আক্রান্ত ও ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও নীলফামারী জেলায় ১ হাজার ৬১৭ জন আক্রান্ত ও ৩৮ জনের মৃত্যু, কুড়িগ্রাম জেলায় ১ হাজার ৩৩১ জন আক্রান্ত ও ২৪ জনের মৃত্যু, লালমনিরহাট জেলায় ১ হাজার ১৯৫ জন আক্রান্ত ও ১৮ জনের মৃত্যু এবং পঞ্চগড় জেলায় ৮৫৯ জন আক্রান্ত ও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আহাদ আলী বলেন, মানুষের সচেতনতার অভাব বেশি। মুখে মাস্ক পরিধান করা কমে গেছে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে অবাধে চলাফেরাও বেড়েছে। এরকম উদাসীনতার কারণে পুরো বিভাগ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। তবে আমরা ঝুঁকি না নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে বেশি সংক্রমণপ্রবণ এলাকা চিহ্নত করে লকডাউন দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর