ফরিদপুরে বিএনপির কর্মী সম্মেলনে দুই পক্ষের মারামারি

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্মেলনে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে আটজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে বাগাট ইউনিয়নের বাগাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
মারামারিতে আহত আটজনের মধ্যে ছয়জন মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন, বাগাট ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আকবর শেখ (৬৫), বাগাট ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান (৩৫), বিএনপি কর্মী মো. শামীম (৩৮), ইদ্রিস শেখ (৫৫), ফরিদুল ইসলাম (৪৫) ও খায়রুল শেখ (২৪)।
এরা সবাই বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়ার সমর্থক বলে জানা গেছে। বাকী দুইজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন নিয়ে মধুখালী উপজেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। এর এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী, কৃষক দলের সহসভাপতি ও ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন একই আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী, বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্মী সম্মেলনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতারা তাদের সমর্থকদের নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় শামসুদ্দিন মিয়ার সমর্থকরা বাগাট ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিষ্কৃত) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে এলে খন্দকার নাসিরুলের সমর্থকরা তাদের বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। মারামারির একপর্যায়ে নাসিরুলের সমর্থকরা শামসুদ্দিনের সমর্থকদের সম্মেলনস্থল থেকে তাড়িয়ে দেয়।
এর প্রতিবাদে শামসুদ্দিনের সমর্থকরা কিছু সময়ের জন্য সামনের ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় মিজানুর রহমানসহ দুই পক্ষের অন্তত আটজন আহত হন। আহতরা মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
আরও পড়ুন
পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে মধুখালী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে বাগাট ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মধুখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রাকিব হোসেন বলেন, সম্মেলনের শুরুতে একটু ঝামেলা হয়েছিল, মারামারির ঘটনাও ঘটেছিল। তবে তা দ্রুতই মিটে যায় এবং সম্মেলন নির্বিঘ্নে শেষ হয়।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম নূরুজ্জামান বলেন, বাগাটে বিএনপির কর্মী সম্মেলনে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে কেউ আহত হয়েছে এমন খবর পাইনি। কিছু সময়ের জন্য মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে হাতাহাতির খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরে বিএনপির কর্মী সম্মেলন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
জহির হোসেন/এএমকে