সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচারের আগে কোনো নির্বাচন জনগণ মানবে না

জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার এবং আওয়ামী লীগের দোষীদের বিচার দৃশ্যমান করার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সংস্কার ও বিচার দৃশ্যমান হওয়ার আগে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। সংস্কার নিয়ে দেশে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। 

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দিনব্যাপী খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ, পথসভা ও ভোটার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ইসলামী দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে ধর্ম, বর্ণ সব মানুষ ভালো থাকা যায়। এ জন্য নতুন বাংলাদেশ গড়তে আমাদের দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিতে হবে। এতদিন মন্দিরে হামলা, বাড়িতে হামলা, ঘের দখল, চাঁদাবাজি, অন্য দলের লোকেরা করেছে। আমাদের লোকেরা পূজায় মন্দিরে পাহারা দিয়ে সাহস ও সান্ত্বনা যুগিয়েছে।

জামায়াতে ইসলামী শান্তির সমাজ গঠনে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হিন্দুদের বন্ধু সেজে যারা হিন্দুদের সম্পদ দখল করেছে, হিন্দুদের ওপর জুলুম করেছে তারা এসব অপবাদ ইসলামী দলগুলোর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সাক্ষ্য দিচ্ছে, কোনো ইসলামী দল তাদের ওপর জুলুম করেনি।

তিনি বলেন, আমাদের সামনে ব্যালটের যুদ্ধ আসছে। এতদিন দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে বলে সঠিক রায় হয়নি। যেখানে ভোট দিতে গেছে যাওয়ার আগেই ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। এবার আশা করি ভোট দিতে পারবো।

আমভিটা বাজারের পথসভা সভাপতিত্ব করেন রংপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান ও সঞ্চালনায় ছিলেন ইউনিয়ন সেক্রেটারি রাশিদুল ইসলাম। থুকড়া বাজারের পথসভায় সভাপতিত্ব করেন রঘুনাথপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির শেখ বিল্লাহ হোসেন ও সঞ্চালনায় ছিলেন সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদ আলম।

এ ছাড়া, শোলগাতিয়া বাজারের ভোটার সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মোস্তফা কামাল ও সঞ্চালনায় ছিলেন সেক্রেটারি তৈয়েবুর রহমান জোয়ার্দার এবং হাসানপুর সরকারি স্কুল মাঠের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফিরোজ আহম্মেদ গাজী ও হেদায়েত হালদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

এসব পথসভা ও ভোটার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্লা, ঢাকা মহানগরী উত্তরের শুরা সদস্য মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম আল ফয়সাল, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ড. একরাম উদ্দিন সুমনসহ আরও অনেক নেতাকর্মী। পরে সেক্রেটারি জেনারেল মিকশিমিল বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজের খুতবা দেন এবং নামাজ আদায় করেন।

এএমকে