তিন মাসের শিশুকে নদীতে ফেলে দিয়ে বাসায় আসেন মা

মাদারীপুরে ৩ মাস বয়সী শিশু কন্যাকে নদীতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে রহিমা আক্তার নামে এক মায়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। স্বজনদের দাবি, দীর্ঘদিন মানসিক রোগে ভুগছেন রহিমা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলার শিবচর পৌরসভার উপশহর সংলগ্ন ময়নাকাটা নদী থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এর আগে এদিন দুপুরে চেতনানাশক খাইয়ে নিজের কোল থেকে শিশুটিকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেছিলেন মা রহিমা আক্তার।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে শিশুকে কোলে নিয়ে ঘর থেকে বের হন রহিমা। পরে সড়কে সামনে দাঁড়ালে তাকে অচেতন করে একদল দুর্বৃত্ত শিশুকে চুরি করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। দুপুরে বাড়িতে একা ফিরে আসেন তিনি । এরপর স্বজনদের বিষয়টি জানালে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। খবর দেওয়া হয় থানা পুলিশকে। শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে পুলিশের একাধিক টিম। ঘটনার ৬ ঘন্টা পর উদ্ধার হয় শিশুর মরদেহ।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রহিমা আক্তার জানায়, শিশুটিকে তিনি উপশহর সংলগ্ন ময়নাকাটা নদীতে ফেলে দিয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নদী থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারনে রহিমা আক্তার নিজ সন্তানকে নদীতে ফেলে দিয়েছেন।
শিশুটির বাবা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রী প্রায় দুই মাস যাবত মানসিকভাবে একটু অসুস্থ। আমাদের শিশু কন্যাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলেও, পরে সে একা বাড়িতে ফিরে আসে। তার কথা জানতে চাইলে আমার স্ত্রী জানায় রাস্তার মাঝে কেউ তাকে অজ্ঞান করে শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে গেছে। পরে রাতে উদ্ধার হয় আমার মেয়ের মরদেহ।
মাদারীপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন কাদের বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে পুলিশ তদন্ত করে। পরে মাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নদীতে তার মেয়েকে ফেলে দিয়েছেন বলে স্বীকা করেন। রাতে উদ্ধার করা হয় শিশুটির মরদেহ। লাশটির সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আকাশ আহম্মেদ সোহেল/এমটিআই