দাওয়াত না পেয়ে মাদ্রাসার খাবার খেয়ে গেলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

বরগুনার আমতলী উপজেলায় দাওয়াত না পেয়ে একটি মাদ্রাসার অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ন.ম.ম আমজাদিয়া আলিম মাদ্রাসায় নবগঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রথম সভায়।
মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, ওই দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা এ সভায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, মাদ্রাসা কমিটির সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য কয়েকজনকে দাওয়াত দিয়ে ৫০ জনের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়।
মাদ্রাসার এক শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ফোন করে নিজেদের বিএনপির কর্মী পরিচয় দিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি কেন?
ঘটনাটি রাজনৈতিক নয় এবং ঘরোয়া সভা বলার পরেও, বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি মাহবুব কাজী ও সাধারণ সম্পাদক রিপন কাজীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ব্যক্তি মাদ্রাসায় আসে। এক পর্যায়ে তারা খাবারের রুমে ঢুকে দুপুরের খাবার খেয়ে ফেলেন।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে জানায়, তারা অতিরিক্ত খাবার নষ্টও করে দিয়ে যান, যাতে অন্য কেউ তা খেতে না পারে।
এ নিয়ে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ফেসবুক পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ে এলাকায় আলোচনা শুরু হয়।
ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুব কাজী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আয়োজনটি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে করা হয়েছিল। আমাদের কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। আমি নিজে সেখানে ছিলাম না, তবে ৩০-৪০ জন মিলে মাদ্রাসায় গিয়েছিল।
অন্যদিকে, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিপন কাজী তার ফেসবুক আইডিতে একটি ছবি দিয়ে লেখেন, ন.ম.ম আমজাদিয়া আলিম মাদ্রাসায় পিকনিকের কিছু স্মৃতি, ১১-০৯-২০২৫। তবে সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি করেন, ছবিটি অন্য জায়গার এবং মাদ্রাসায় গিয়ে খাবার খাওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আলী হোসেন জানান, কমিটির সদস্য ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্যই ঘরোয়া এই আয়োজন ছিল। কোনো রাজনৈতিক বিষয় ছিল না। আওয়ামী লীগের কেউ কমিটিতে নেই। তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো অভিযোগ জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। তদন্ত করে প্রমাণ মিললে দলের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আব্দুল আলীম/এআরবি