রাজশাহী-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সব বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন নাটোরসহ উত্তরাঞ্চলের যাত্রীরা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, বহুদিন ধরে তারা বেতন বৃদ্ধির দাবি জানালেও পরিবহন মালিকদের কাছ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তাই দাবি আদায়ে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন।
বর্তমানে রাজশাহী থেকে ঢাকা এক দফা বাস চলাচলে চালক পান ১ হাজার ২০০ টাকা, সুপারভাইজার ৬০০ টাকা এবং চালকের সহকারী ৫২০ টাকা। শ্রমিকরা বলছেন, বর্তমান সময়ের বাজার পরিস্থিতিতে এ বেতন অপ্রতুল। তারা চালকের বেতন ২ হাজার টাকা এবং সুপারভাইজার ও সহকারীর বেতন আরও পাঁচশ টাকা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন।
বাসচালক শাকিল আহমেদ বলেন, শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে বাস চলাচল বন্ধ রাখতে হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে বলে জানান তিনি।
এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় নাটোরের বিভিন্ন বাস কাউন্টার তালাবদ্ধ রাখা হয়েছে। হঠাৎ করেই ধর্মঘটের কারণে অনেকে নাটোর বাসস্ট্যান্ডে এসে বিপাকে পড়েন। তবে ভোগান্তির মধ্যেও অনেক যাত্রী শ্রমিকদের দাবিকে ন্যায্য বলেই মন্তব্য করেছেন।
সোহেল রানা নামে এক যাত্রী বলেন, বাসস্ট্যান্ডে এসে জানতে পারি, বাস চলাচল বন্ধ। জরুরি কাজে ঢাকা যাওয়া প্রয়োজন। প্রায় ৩ ঘণ্টা যাবত বসে আছি এখনো কোনো উপায় পাচ্ছি না।
আরেক যাত্রী রাজু আহমেদ বলেন, বাসস্ট্যান্ডে এসে বাস বন্ধের খবর শুনে বাসায় ফেরত যাচ্ছি। শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক। তবে, বাস বন্ধ থাকবে আগে থেকে জানতে পারলে হয়তো বিকল্প উপায় চিন্তা করতাম।
নাটোর পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আব্দুল মজিদ বলেন, ঢাকামুখী বাসগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে যাত্রা শুরু করে নাটোর থেকে যাত্রী নেয়। রাজশাহী থেকে ঢাকার বাস বন্ধ থাকায় নাটোরের যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন। তবে, নাটোর থেকে অভ্যন্তরীণ এবং স্বল্প দূরত্বের যেসব বাস চলে সেগুলো স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে।
পরিবহন শ্রমিকরা জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত রাজশাহী-ঢাকা রুটে বাস চলাচল চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এতে রাজধানীমুখী যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও দীর্ঘায়িত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আশিকুর রহমান/এএমকে