ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, তবে কোনো পদে ছিলাম না

জাতীয় যুবশক্তি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেছেন, আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। আমার চাচাতো ভাই মাহমুদ পারভেজ কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ছিলেন। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তবে কখনও কোনো পদে ছিলাম না।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা শহরের হোটেল শেরাটনের হলরুমে জাতীয় যুবশক্তি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান। সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মানিক মিয়া ও সিনিয়র সদস্য সচিব কাউসার মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ মো. রুবেল আব্দুল্লাহর পিতা মো. আজহারুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শাখার সদস্য সচিব মো. জুবায়ের আলম এবং যুগ্ম সদস্য সচিব হোসাইন আহমেদ সাঈম।
এদিকে, একই দিন দুপুরে ‘জুলাই যোদ্ধা কিশোরগঞ্জ’ ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব, ওয়ারিয়র্স অফ জুলাই-এর যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয় যুবশক্তি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াজ ইবনে জসিম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের লোকজনকে পুনর্বাসন করতেই কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার জাতীয় যুবশক্তি কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই কমিটি অনুমোদনের পেছনে আর্থিক লেনদেন হয়েছে। কমিটির মুখ্য সংগঠক মো. আমিনুল হক মাইজকাপন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের সময় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন। এছাড়াও কমিটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের আরও কয়েকজনকে রাখা হয়েছে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই কমিটি দ্রুত বিলুপ্ত ঘোষণা না করা হলে বাংলামোটরের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাওসহ কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এনামুল হক হৃদয়/এআরবি