কুয়াকাটায় বৈরী আবহাওয়ায় আটকা হাজারো পর্যটক, ছুটির আনন্দে হঠাৎ ছন্দপতন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা হাজারো পর্যটক আটকা পড়েছেন। টানা ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠায় দর্শনার্থীরা বাধ্য হয়ে হোটেলেই সময় কাটাচ্ছেন। হঠাৎ আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনে নারী ও শিশু পর্যটকদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও।
গত বুধবার (১ অক্টোবর) রাত ১০টার পর থেকেই শুরু হয় টানা ভারী বর্ষণ। সেই সঙ্গে সৈকত এলাকায় শুরু হয় দমকা হাওয়া। এ সময় সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা পর্যটকরা ছোটাছুটি শুরু করেন এবং আশ্রয়ের জন্য নিরাপদ জায়গা খোঁজেন।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত ছাড়াও চর বিজয়া, ফাতরার চরসহ আশপাশের দ্বীপমুখী পর্যটন এলাকায় আপাতত যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভ্রমণকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় আসা পর্যটক মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল বলেন, টানা চার দিনের ছুটির আনন্দ কুয়াকাটায় কাটানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে হোটেলে বন্দী থাকতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় চারদিন থাকা সম্ভব না, ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছি।
রাজশাহী থেকে আসা আরেক পর্যটক শামসুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া একদম ঠিক ছিল, কিন্তু হঠাৎ করে মেঘ জমে বৃষ্টি নামল। তখন আমি বাচ্চাদের নিয়ে কোথাও দাঁড়ানোর জায়গাও পাইনি, ভিজেই হোটেলের দিকে রওনা দিতে হয়েছে।
কুয়াকাটার হোটেল রনির পরিচালক মানিক মিয়া বলেন, অনেকদিন পর কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক এসেছে। তবে গতকাল থেকেই হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল। এখন যদি আবহাওয়া খারাপই থাকে, তাহলে পর্যটকেরা ছুটি শেষ না করেই ফিরে যেতে পারেন।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিওনের পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটিতে পর্যটক সমাগম বাড়বে, এমনটা আগেই ধারণা ছিল। তাই সব দর্শনীয় স্থানে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও দায়িত্বশীলদের যথাযথ দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানাই।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে এই বৈরী আবহাওয়া তৈরি হয়েছে, যা আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এখনই নির্দিষ্ট কিছু বলা যাচ্ছে না।
এসএম আলমাস/এআরবি