মাদারীপুরে ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

মাদারীপুরে ৪র্থ দিনের মতো স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি চলছে। নিয়োগবিধি সংশোধন, বেতন বৈষম্য নিরসন ও টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদানসহ ছয় দফা দাবি নিয়ে এ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে জেলার পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে স্বাস্থ্য সহকারীদের উপস্থিতিতে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
‘বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর ব্যানারে এই কর্মবিরতি পালন করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ সময় অতি দ্রুত তাদের দাবিগুলো সরকার না মানলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন তারা।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন শিবচর শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন বলেন, ইপিআই কর্মসূচি ও টিসিবি ক্যাম্পেইনসহ স্বাস্থ্য সহকারীদের সব কাজ বন্ধ রেখে চলতি মাসের এক তারিখ থেকে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করতেছি। আমাদের ছয় দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবো না। আমরা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে অফিস টাইম পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে কর্মবিরতি পালন করবো। আমাদের জিও না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি প্রত্যাহার করবো না।
আমাদের দাবিগুলো হচ্ছে, স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন করতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতায় স্নাতক সংযোগ করতে হবে। আমাদের বেতন গ্রেড ১৪তম গ্রেডে উন্নিত করতে হবে। ইনসারমেস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নিত করণ। টেকনিক্যাল পদমর্যাদা আমাদের প্রদান করতে হবে। পদন্নোতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী গ্রেড প্রদান করতে হবে।
সাধারণ সম্পাদক শাহীন ঢালী বলেন, যারা গরু-ছাগলের টিকা দেয় তাদেরকে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়া হয়। অথচ আমরা সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে টিকা দিই কিন্তু এখনো সেই পদমর্যাদা পাইনি। আমরা পদমর্যাদা না পাওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করে যাবো।
স্বাস্থ্য সহকারী সেলিনা আক্তার বলেন, আমরা শূন্য থেকে ৫ বছর বয়সী সব শিশুদেরকে যেভাবে সেবা দিয়ে থাকি সেটা বাংলাদেশের ও পৃথিবীর আর কেউ এভাবে সেবা দেয় না। কিশোরীদেরকে ধনুষ্টংকার টিটিনাস টিকা দিয়ে তাদেরকে ধনুষ্টংকারের হাত থেকে রক্ষা করি। আবার কিশোরী থেকে যখন বড় হয় এবং গর্ভবতী হয়, তখন গর্ভকালীন সেবা দিয়ে থাকি। এরপর বাচ্চা হলে শুরু থেকেই আবার আমাদের সেবা। এভাবে ধারাবাহিকভাবে সেবা দিয়ে থাকি। কিন্তু আজ অবদি আমাদের কাজের যে মূল্যায়ন সেটা এখনো সরকার দেয়নি। তাই সরকারের প্রতি আমাদের ন্যায্য দাবি। আমাদের দাবিগুলোকে তারা সদয় দৃষ্টিতে দেখুক।
আকাশ আহম্মেদ সোহেল/এএমকে