বগুড়া পৌরসভা ও সদরে সাতদিনের লকডাউন

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বগুড়া পৌর ও সদর এলাকায় সাতদিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (১৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুন) রাত ১২টা থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী ২৮ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত মোট সাতদিন এই লকডাউন কার্যকর থাকবে।
এদিকে জেলায় লকডাউন কার্যকরে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আরোপ করা বিধিনিষেধগুলো হচ্ছে- বগুড়া পৌরসভা ও সদর উপজেলা এলাকায় সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, মার্কেট, দোকান বন্ধ থাকবে। তবে ওষুধ, কাঁচাবাজার, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, চিকিৎসাসেবা, মরদেহ দাফন ও সংকারের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান এর আওতামুক্ত থাকবে। লকডাউন চলাকালে পৌর ও সদর এলাকার খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁসমূহ সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য সরবরাহ করতে পারবে।
লকডাউন চলাকালে এই সাতদিন বাসসহ কোনো প্রকার যানবাহন বগুড়া শহরে প্রবেশ করতে এবং বগুড়া শহর থেকে বাইরে যেতে পারবে না। দূরপাল্লার বাস শুধু হাইওয়ে ব্যবহার করবে এবং সর্বাত্নক কঠোর বিধিনিষেধ আরোপিত এলাকায় সকল প্রকার যানবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবাদানকারী পরিবহন, রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে সম্পর্কিত পরিবহন ও ব্যক্তিবর্গ এবং কৃষিপণ্য/খাদ্যসামগ্রী পরিবহন নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এই সাতদিন জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ সকল ধরনের গণজমায়েত বন্ধ রাখতে হবে।
বগুড়া শহরের সকল সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকবে। সকল পর্যটনস্থল, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। সকল ধরনের চায়ের দোকান বন্ধ থাকবে এবং ফুটপাতে কোনো দোকান বসানো যাবে না। শিল্প-কারখানাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। সকল ধরনের সরবারহ ব্যবস্থাপনায় সচল থাকবে।
সরকারের রাজস্ব আদায়ের সাথে সম্পৃক্ত সকল দপ্তর / সংস্থাসমূহ জরুরি পরিসেবার আওতাভুক্ত হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুম্মার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্তে বিধি মেনে মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও সামাজিক দূরত্ব মেনে উপাসনা করা যাবে। উপযুক্ত বিধিনিষেধ অমান্য করলে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন ২০১৮ প্রচলিত অন্যান্য আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেন, বগুড়ায় করোনা সংক্রমণ রোধে শুক্রবার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদি প্রয়োজন হয় তবে সময় আরও বাড়ানো হবে। জেলায় করোনা সংক্রমণ রোধে এ ধরনের সিদ্ধান্ত আবারও নেওয়া হতে পারে।
সাখাওয়াত হোসেন জনি/আরএআর