জুলাইয়ের আন্দোলন ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বড় বিজয় : আখতার হোসেন

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, চব্বিশের জুলাইয়ে আন্দোলন করে ফ্যাসিবাদ তাড়িয়েছি এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় বিজয়। ব্যক্তি জীবনে আমার কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। মানুষের ও এলাকার উন্নয়নই আমার একমাত্র আকাঙ্ক্ষা। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমি কাজ করে যাচ্ছি।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়ন ও ছাওলা ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় উঠান বৈঠক করেন এনসিপির এই নেতা।
গণসংযোগ চলাকালে আখতার হোসেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন, কারও সঙ্গে করমর্দন করেন, আবার কাউকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। মনোযোগ দিয়ে শোনেন সাধারণ মানুষের কথা। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) আসনে তৃণমূলের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা জানতে তিনি এই গণসংযোগ চালাচ্ছেন। এর আগেও আখতার হোসেন নিজ এলাকায় দুই শতাধিক ভ্যান নিয়ে গণসংযোগ করেছেন।

গণসংযোগে তিনি বলেন, রংপুর বরাবরই উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। এই বঞ্চনার হাত থেকে কাউনিয়া-পীরগাছা এলাকাও রক্ষা পায়নি। গত ১৬ বছর ধরে যে উন্নয়নের কথা শুনেছি, সেই কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন এখানে হয়নি। আগামী নির্বাচনে এই এলাকার মানুষ উন্নয়নের স্বার্থে নতুন দল এনসিপিকে ও আমাদের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। মানুষ মুখিয়ে আছে, তারা তাদের যোগ্য প্রার্থীকে জয়ী করতে চায়। গণসংযোগে বেশ সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি, নির্বাচনে ভালো কিছু হবে।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন এনসিপির উপজেলা প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ দলের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন
এদিকে, সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা ডা. মুহাম্মদ ইউনুসের সফরসঙ্গী হওয়ায়, বাদ মাগরিব হারাগাছ মেনাজ বাজারের ঐতিহাসিক সানাই মার্কেটের পথসভায় আখতার হোসেনকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
এর আগে, গত ১ জুলাই রংপুরের কাউনিয়া বাসস্ট্যান্ডে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে এনসিপি ছাড়াও বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরাও নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এআরবি