কৃষকরা গ্রামে টিকে থাকতে না পেরে ঢাকায় রিকশা চালাতে বাধ্য হচ্ছে : ফুয়াদ

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ফুলের মতো পবিত্র মানুষগুলোর হাতেই আপনাদের ভাগ্য তুলে দিয়েছিলেন, আর তারাই তা নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। সংসদে যাওয়ার পর তারা আপনাদের কথা ভুলে গেছে।
তিনি বলেন, কীটনাশক ও সার বিক্রির টাকায় কৃষকের ভবিষ্যৎ বিক্রি করে দিয়েছে। চাল ও ডালের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করতে না পারায় কুড়িগ্রামের কৃষকরা গ্রামে টিকে থাকতে না পেরে ঢাকায় রিকশা চালাতে বাধ্য হচ্ছে। আমি আমার কৃষক ভাইদের বলতে চাই- পুরোনো রাজনীতি ভুলে গিয়ে নতুন রাজনীতির পথে হাঁটতে হবে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে কুড়িগ্রাম সদরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার- এই তিন মূলনীতিকে ভিত্তি করে অধিকারভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কুড়িগ্রামে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের নেতৃত্বে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, নতুন রাজনীতিতে আপনাদের এগিয়ে আসতেই হবে, যদি আপনারা ভাগ্য বদলাতে চান। সিদ্ধান্ত আপনাদের- আপনারা কি অধিকার ফিরে পেতে চান, নাকি দাসত্বে অভ্যস্ত হয়ে থাকবেন? জিন্দাবাদের রাজনীতি করবেন, নাকি পরিবর্তনের রাজনীতি? যদি আপনারা গুন্ডাদের ভোট দেন, তাহলে সারাজীবন ভুগতেই হবে।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পতাকার প্রতি আমাদের সবার দায়বদ্ধতা আছে। আমরা সবাই মিলে লড়াই করে, সংগ্রাম করে পরিবর্তনের রাজনীতি ফিরিয়ে আনবো। মানুষকে আমি উদাত্ত আহ্বান জানাই- এবি পার্টির ছায়াতলে আসুন। আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার রাজনীতি করি, বিবেকের রাজনীতি করি। আমরা ভোট কেনাবেচার রাজনীতি নয়, সেবার রাজনীতি করি। আমরা করি অধিকারের লড়াইয়ের রাজনীতি। কুড়িগ্রামের উন্নয়নের জন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবি পার্টির প্রার্থীদের জয়ী করুন।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজারহাট উপজেলা, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ত্রিমোহনী বাজার এবং ঘোষপাড়া এলাকায় ধারাবাহিক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভাগুলোর প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন এবি পার্টির রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু বকর সিদ্দিক, কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক ডা. নজরুল ইসলাম খাঁন এবং জেলা সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম জুয়েল প্রমুখ।
মমিনুল ইসলাম বাবু/এআরবি