নোয়াখালীতে শিবির-বিএনপি সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি মামলা

নোয়াখালী সদর উপজেলায় ছাত্রশিবির ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। উভয় পক্ষই একে অপরকে দায়ী করে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা দায়ের করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, এর আগে রোববার কাশেমবাজার মসজিদে ছাত্রশিবিরের কোরআন শিক্ষা চলাকালে যুবদল নেতার হামলা ও শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তারপর প্রতিবাদ হিসেবে এদিন বিকেলে ওই মসজিদে দারসুল কোরআন প্রতিযোগিতার কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্রশিবির। আসরের নামাজের পর দারসুল কোরআন শুরু হলে বাইরে থেকে জিয়ার স্লোগান দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারপর উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে জেলা শহর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন
ঘটনার পর ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মো. ফারুক হোসেন বাদী হয়ে জামায়াত ও শিবিরের ১৯ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেন।
অপরদিকে, ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে শহর শাখার আইন সম্পাদক নাঈম হোসেন বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এতে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ২১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা হিসেবে উল্লেখিত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নানা ধরনের আলোচনা ও গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, কে কার বিরুদ্ধে মামলা করেছে এবং কারা আসামি হয়েছেন তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হচ্ছে। এই পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলেছে। পুলিশের উপস্থিতি ও প্রশাসনের নজরদারিও এখন আগের চেয়ে বাড়ানো উচিত, যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই দিনের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসিব আল আমিন/আরকে