রাজশাহীতে নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, চিকিৎসক কারাগারে

রাজশাহীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নার্সকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আহসান হাবীব (২৭) নামের একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নার্সের করা মামলা পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
এমবিবিএস চিকিৎসক আহসান হাবীবের গ্রামের বাড়ি নওগাঁয়। তিনি রাজশাহীতে বসবাস করেন। রাজশাহী নগরের লক্ষ্মীপুর এলাকার আল-আরাফাহ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ভুক্তভোগী নার্স অন্য একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কর্মরত।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বাদি ওই নার্স ঢাকায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কর্মরত ছিলেন। দুই বছর আগে আসামির (চিকিৎসক) সঙ্গে ফেসবুকে তার পরিচয়। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে নার্সকে রাজশাহীতে আসার প্রস্তাব দেন। চিকৎসকের প্রস্তাবে রাজি হয়ে ছয় মাস আগে ভুক্তভোগী ওই নার্স রাজশাহীতে আসেন। পরে ভাড়া বাসায় আসামির সঙ্গে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে প্রচলিত আইনে বিবাহ করার প্রতিশ্রুতি দেন আহসান হাবীব।
সর্বশেষ গত ৯ অক্টোবর রাত দেড়টায় আহসান হাবীব ক্লিনিকে নিজের চেম্বারে ডেকে নিয়ে ভুক্তভোগী নার্সকে ধর্ষণ করেন। এরপর বাদীর সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দেন চিকিৎসক। খোঁজ নিয়ে ভুক্তভোগী নার্স জানতে পারেন, অন্য মেয়েকে বিয়ে করে আহসান হাবীব সংসার করছেন।
এ ঘটনায় গত ২৩ অক্টোবর রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নার্স। পরে গেল রোববার দুপুরে ওই চিকিৎসককে তার কর্মস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেদিনই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে ভুক্তভোগী ওই নার্স রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি থানায় এসে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক আবদুল আলিম জানান, মামলা হওয়ার পর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই দিন বিকেলেই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলাটির তদন্ত শুরু হয়েছে।
ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিস্তারিত জানি না। তবে মামলায় ঘটনাস্থল হিসেবে আমাদের ক্লিনিকের নাম আছে বলে জেনেছি। সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসক আহসান হাবীবকে ক্লিনিক থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শাহিনুল আশিক/এমএন