ফরিদপুরে করোনায় ইউপি সদস্যের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৮০

ফরিদপুরে করোনা শনাক্ত হয়ে মো. দেলোয়ার হোসেন (৫৮) নামের এক ইউপি সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ করোনা ডেডেকেটেড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
দেলোয়ার হোসেন আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি আজিমনগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামের মৃত রত্তন মাতুব্বরের ছেলে।
আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোতালেব মাতুব্বর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে জানান, দেলোয়ার হোসেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। এর আগেও দুই দফা ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ফরিদপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের আইসিইউতে কর্মরত জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স যূথি রায় জানান, রোববার রাতে ওই ওয়ার্ডে দুজনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে একজন ছিলেন করোনা শনাক্ত, অপরজন ছিলেন করোনা সন্দেহে চিকিৎসাধীন।
মৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২১ জুন) দুপুরে (বাদ জোহর) জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
ফরিদপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দেলোয়ার ১৭ জুন ফরিদপুর মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসেন। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর ১৮ জুন তাকে করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। তার শরীরের অবনতি ঘটলে রোববার (২০ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাকে আইসিইতে স্থনান্তর করা হয়। এর এক ঘণ্টা পর রাত আড়াইটার দিকে মারা যান দেলোয়ার।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান জানান, এ হাসপাতালে করোনা শনাক্ত ১৮০ জন ভর্তি রয়েছেন। এর মাধ্যে ১৫ আইসিইতে এবং বাকি ১৬৫ জন করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালসহ নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ফরিদপুরের ৯টি উপজেলার করোনা শনাক্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৮ জন। অন্যরা আশপাশের জেলার।
এনএ