পথচারীকে চাপা দিয়ে পালানোর সময় ৩ মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে বাসের ধাক্কা

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় ঢাকা এক্সপ্রেসওয়েতে বাস ও প্রাইভেটকারসহ যাত্রীবাহী পাঁচটি যানের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। একটি যাত্রীবাহী বাস এক পথচারীকে চাপা দিয়ে পালানোন সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাত পৌনে ৯টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের কুচিয়ামোড়া সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় আরও ৮-৯ জনকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের ধীরগতি তৈরি হয়। পরে সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যোগ দেয়।
দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস বলছে, যাত্রীবাহী সোহাগ পরিবহনের বাসের ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আহত হালিমা বেগম (৬১) নামে নারী পথচারীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি।
হাসারা হাইওয়ে পুলিশ ও শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, রাতে সোহাগ পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে রাজধানীর ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি রাত পৌনে ৯টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে সিরাজদিখানের নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক পথচারীকে চাপা দেয়। এরপর বাসের চালক দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালানোর সময় সামান্য দূরে কুচিয়ামোড়া সেতু এলাকায় যানজটে আটকে থাকা তিনটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেটকারকে সজোরে ধাক্কা দেয়। বাস ও ওই গাড়িগুলোর ৮-৯ জন যাত্রী আহত হন। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এক্সপ্রেসওয়ের ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় আধা ঘণ্টা যানজট লেগেছিল।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারি পরিচালক মুহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, ধলেশ্বরী সেতু ১ ও ২ এর মাঝামাঝি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া এলাকায় ঢাকামুখী লেনে সোহাগ পরিবহনের একটি বাস সামনে যানজটে আটকা পড়া ৩টি মাইক্রোবাস ও ১টি প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়। এসময় পথচারী হালিমা (৬১) আহত হন। সেখানে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে সড়কে যানজট নিরসন করতে কাজ করে। প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ব. ম শামীম/আরকে