ইবি শিক্ষার্থীর তেঁতুলিয়া-টেকনাফ সাইকেলিং

মাত্র সাত দিনে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে রেকর্ড গড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী মানিক রহমান। গত সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে তেঁতুলিয়া থেকে যাত্রা শুরু করে রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে টেকনাফে পৌঁছান তিনি।
মানিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এই অভিযানের মাধ্যমে তিনি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
জানা গেছে, এর আগে মানিক রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নীলফামারী পর্যন্ত ৩৩০ কিলোমিটার এবং ইবি থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ৪১৮ কিলোমিটার সাইকেল চালান। সাইকেলিংয়ের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ম্যারাথনেও অংশ নিয়েছেন। ১৬ ডিসেম্বর ১৬ কিলোমিটার ম্যারাথন, ২১ ফেব্রুয়ারি ২১ কিলোমিটার ম্যারাথন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ কিলোমিটার মিনি ম্যারাথনে সপ্তম স্থান, অগ্নিসংযোগ সচেতনতায় ৫ কিলোমিটার মিনি ম্যারাথনে প্রথম স্থান, ২৬ মার্চ ২৬ কিলোমিটার নাইট ম্যারাথনে দ্বিতীয় স্থান, আবরার ফাহাদ স্মৃতি ৭.৫ কিলোমিটার মিনি ম্যারাথনে চতুর্থ স্থান এবং ওয়ার্ল্ড অ্যাসেম্বলি অব মুসলিম ইয়ুথ (ওয়ামি) আয়োজিত ২ কিলোমিটার ফান রানে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন তিনি।
মানিক রহমানের তেঁতুলিয়া-টেকনাফ সাইকেল ভ্রমণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কে. এম. শরফুদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলীমুজ্জামান টুটুল এবং কয়েকজন শিক্ষার্থী সহযোগিতা করেন।
সাইকেলিং শেষে মানিক বলেন, মাত্র সাত দিনে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সাইকেল ভ্রমণ সম্পন্ন করেছি। আমার এই যাত্রার মূল উদ্দেশ্য ছিল তিস্তা পাড়ের মানুষের দুরবস্থা দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরা। পথে যার সঙ্গেই কথা বলার সুযোগ পেয়েছি, তাদের কাছে তিস্তা এলাকার মানুষের কষ্টের গল্প শেয়ার করেছি। শুরুতে আমি কয়েকটি কোম্পানিতে স্পন্সরশিপের জন্য আবেদন করলেও পাইনি। পরে শিক্ষকদের ও সিনিয়র ভাইদের সহায়তায় যাত্রা শুরু করতে পেরেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কে. এম. শরফুদ্দিন বলেন, একদিন ক্লাস চলাকালীন মানিক জানায়, সে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সাইকেল চালাতে চায়। বিষয়টি শুনে আমি খুবই অনুপ্রাণিত হই এবং তাকে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিই। পরে সে আমার সাইকেলটি চায়, আমি আনন্দের সঙ্গে সেটি তাকে দিই, যেন এই অসাধারণ যাত্রায় আমার সাইকেলটিই তার সঙ্গী হতে পারে।
মোহাম্মদ মিলন/এআরবি