কুমিল্লা ৩ ও ৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৩৭টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে বিএনপির সাবেক চারবারের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীকে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে দলটি। এই আসনটি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর আসন। হাসনাত আবদুল্লাহ দেবিদ্বার উপজেলার গোপালনগর এলাকার বাসিন্দা।
ইঞ্জিনিয়ার মনজুরুল আহসান মুন্সী দেবিদ্বার আসন থেকে ১৯৯১ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন ও ২০০১ সালে টানা চারবার সাংসদ নির্বাচিত হন।
এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহকে দেবিদ্বার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ, উঠান বৈঠকসহ ব্যাপক তৎপরতা চালাতে দেখা গেছে। আসন ভাগাভাগি হলে হাসনাত আব্দুল্লাহকে বিএনপি এই আসনটি ছেড়ে দিত বলে মনে করছেন এ আসনের বাসিন্দারা।
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক ছয়বারের সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়ার উপজেলা এটি। উপদেষ্টা আসিফ মুরাদনগর উপজেলার আকবপুর এলাকার বাসিন্দা।
গেল এক বছর ধরে এই আসনে উপদেষ্টা আসিফ এবং বিএনপি নেতা কায়কোবাদের অনুসারীদের মধ্যে বেশ উত্তেজনা চলছে। হয়েছে কয়েক দফায় সংঘর্ষ।
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। তিনি জাতীয় পার্টির মনোনয়নে ১৯৮৬ সালে ৩য় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার এবং ১৯৮৮ সালে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করলে তিনি বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলামের নিকট পরাজিত হন। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৭ম জাতীয় সংসদের তিনি জাতীয় পার্টি থেকে আবারও সংসদ সদস্য হন। এরপর তিনি জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন এবং জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়নে ২০০১ ও ২০০৮ সালে ৮ম ও ৯ম জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে কায়কোবাদ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ পান।
২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার মামলার রায় হয় ২০১৮ সালে। রায়ে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। কায়কোবাদ এই মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি দেশের বাইরে অবস্থান নেন। ২০২৪ সালে ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের আপিল বিভাগ তাকেসহ অন্য সব আসামিকে খালাস প্রদান করেন। পরে তিনি দেশে আসেন। মুরাদনগর উপজেলার মানুষ তাকে দাদাভাই হিসেবে ডাকেন।
আরিফ আজগর/এএমকে