খুলনায় কঠোরভাবে চলছে ৭ দিনের লকডাউন

করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় খুলনায় চলছে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন। মঙ্গলবার (২২ জুন) লকডাউনের প্রথম দিন সকাল থেকেই কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। দিনের শুরুতে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের উপস্থিতি কিছুটা বাড়ছে।
খুলনার অনেক সড়কের প্রবেশপথে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। সড়ক ও মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি।
রাস্তায় পুলিশের টহল গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার, রিকশা, মোটরসাইকেলসহ জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহৃত সীমিতসংখ্যক যানবাহন রয়েছে।

এর আগের ২ সপ্তাহের বিধিনিষেধের সঙ্গে লকডাউনের চিত্রটা ভিন্ন। লকডাউনে রাস্তায় মানুষের চলাচল খুবই কম। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলেই পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে।
রূপসা ট্রাফিক স্ট্যান্ড মোড়ে সোমবার রাত থেকে চারপাশের রাস্তা বাঁশ দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ১০ জনের অধিক যাত্রী পারাপার করা যাবে না। নগরীর সাতরাস্তা মোড়ের পাশের একটি সড়কে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে।
কিছু কিছু স্থানে জনসমাগম বেশি ছিল। কাঁচাবাজারে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। এছাড়া নগরীর মোড়ে মোড়ে বিধিনিষেধ মেনে চলার জন্য করা হচ্ছে মাইকিং। দূরপাল্লার বাস খুলনা থেকে ছেড়ে যায়নি। ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, খুলনা থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ৫ জোড়া ট্রেন শিডিউল মেনে চলবে যশোর থেকে। খুলনায় পুলিশ ও নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা ফাঁকা ট্রেন নিয়ে খুলনায় আসবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য। কাজ শেষ হলে তাদের প্রহরায় যাত্রীশূন্য ট্রেন যাবে যশোরে।
মঙ্গলবার (২২ জুন) থেকে শুরু হওয়া এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন চলবে আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাংকে লেনদেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে। সব ধরনের পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার (২২ জুন) থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত সব ধরনের দোকানপাট, শপিংমল ও কোচিং সেন্টারসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচাবাজারের দোকান প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
মোহাম্মদ মিলন/এমএসআর